গাইবান্ধার ৩৫৬ কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম

গাইবান্ধার ৩৫৬ কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জামআগামীকাল সোমবার (১৮ মার্চ) ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে গাইবান্ধার পাঁচটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পাঁচ উপজেলার ৩৫৬টি ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার, বাক্সসহ আনুসাঙ্গিক সরঞ্জামাদি পাঠানো শুরু হয়েছে। রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুর থেকে প্রত্যেক উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার তত্ববধানে স্ব-স্ব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের হাতে এসব নির্বাচনি সরঞ্জাম তুলে দেওয়া হয়। পরে এসব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসাররা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে কেন্দ্রে পৌঁছাতে শুরু করেন।

১৮ মার্চ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পাঁচ উপজেলার ৩৫৬টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় দফায় জেলার ছয় উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। 

গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে ৩৫৬টি ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হয়েছে। বিকালের মধ্যে প্রত্যেক কেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম পৌঁছে যাবে। উৎসব মুখর পরিবেশে ও নির্বিঘ্নে ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন সেজন্য প্রত্যেক কেন্দ্রে পুলিশ, আনছার ও গ্রাম পুলিশসহ ১৮ জন আইনশৃঙ্খলা বাহীনির সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া বিজিবি, র‌্যাব, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনি এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন।’

গাইবান্ধার পাঁচ উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় ভোট কেন্দ্রে রয়েছে ১০২টি, সাদুল্যাপুর উপজেলায় ৬৮টি, পলাশবাড়ী উপজেলায় ৬৪টি, সাঘাটা উপজেলায় ৭৮টি ও ফুলছড়ি উপজেলায় ৪৪টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। পাঁচ উপজেলার মোট ৩৫৬ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১২৯টি ভোট কেন্দ্রে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ৯৫টি ভোট কেন্দ্র কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

নির্বাচনে পাঁচ উপজেলায় তিনটি পদে মোট প্রার্থী ৮১ জন। এরমধ্যে ১৯ জন চেয়ারম্যান, ৩৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান এবং ২৬ জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পাঁচ উপজেলায় ১০ লাখ ৬০ হাজার ২৭৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৬ ও নারী ভোটার ৫ লাখ ৪২ হাজার ৫১৮ জন।