মোবাইলে ছবি দেখানোর কথা বলে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ

গাইবান্ধা জেলাগাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে ১৩ বছরের এক শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মোবাইলে ছবি দেখানোর লোভ দেখিয়ে নিজ স্ত্রীকে দিয়ে শিশুটিকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী আসাদুল সরকারের বিরুদ্ধে।

ঘটনার চারদিন পর সোমবার দুপুরে নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে সাদুল্যাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দামোদরপুর গ্রামে শিশুটিকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছেন তার স্বজনরা।  

অভিযুক্ত আসাদুল সরকার (৩৫) দামোদরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দামোদরপুর গ্রামের (কান্তনগরবাজার) আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে।

নির্যাতনের শিকার শারীরিক প্রতিবন্দি শিশুটির বাবা পেশায় রিকশাচালক। গার্মেন্টে চাকরিরত স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ঢাকায় থাকেন। বাবা-মা ঢাকায় থাকায় শিশুটি গ্রামে তার নানার বাড়িতে থাকে।

নির্যাতনের শিকার শিশুটির পরিবার জানায়, আসাদুলের স্ত্রী রোজি বেগম বৃহস্পতিবার দুপুরে মোবাইলে ছবি দেখানোর কথা বলে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় শিশুটিকে। এরপর রোজির সহযোগিতায় শিশুটিকে ধর্ষণ করে আসাদুল। পরে ধর্ষণের ঘটনাটি না জানাতে শিশুটিকে বিভিন্ন ভয় দেখায় আসাদুল ও তার স্ত্রী রোজি।

এদিকে, ঘটনার চারদিন পর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি তার নানিকে জানায়। খবর পেয়ে ঢাকা থেকে শিশুর বাবা-মা বাড়িতে আসেন এবং অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে শিশুটি সদর হাসপাতালের চিকিৎসাধীন।

শিশুটির মা-বাবার অভিযোগ, ঘটনার বিচারের নামে স্থানীয় কয়েকজন তাদের আশ্বাস দিয়ে টালবাহনা করছেন। এমনকি ঘটনায় যেন মামলা না হয় সেজন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ দিচ্ছে তারা। তবে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. শাহীনুর ইসলাম বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা হলে শিশুটির শরীরে ধর্ষণের আলামত আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হবে।’

সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরশেদুল হক মোবাইল ফোনে জানান, ‘ঘটনাটি আমাকে কেউ জানায়নি। শিশুটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত অভিযুক্তকে আটক ও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’