ফতুল্লায় যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

Narayanjangনারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার রামারবাগ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন। শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় রামরবাগ শাহী মসজিদ এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসীদের মহড়া দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যুবলীগের মোস্তফা গ্রুপের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল একই এলাকার যুবলীগের প্রতিপক্ষ গিয়াসউদ্দিন গ্রুপের মধ্যে। শুক্রবার মাদকবিরোধী অভিযানের মিছিল চলাকালে মোস্তফা গ্রুপের এক সদস্যকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে গিয়াসউদ্দিনের লোকজন। মারধর শেষে যাওয়ার সময় মোস্তফা গ্রুপের সদস্যরা লাঠিসোটা, লোহার পাইপ, রামদা ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্রসহ হামলা চালায় গিয়াসউদ্দিন গ্রুপের লোকজনের ওপর। এ সময় এক নারীসহ ১৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় দুইজনকে ঢাকা মেডিকেল ও দুইজনকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহত অন্যান্যদের শহরের খানপুর ৩শ’ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

খানপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অমির রায় জানান, ফতুল্লা থেকে আসা আহতদের অধিকাংশই ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মাথায় ও পায়ে গুরুতর জখম হওয়া রোগীই বেশী। তাদের মধ্যে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আমরা চারজনকে ঢাকায় রেফার করেছি। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়ছে। এতে দুই পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফের সংঘর্ষের কোনও আশঙ্কা নেই।