বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ এর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান

2



বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ এর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে রাঙামাটিতে। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে এই উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের আয়োজন করেছে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ ফাউন্ডেশন।

সংগঠনের পক্ষ থেকে সকালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া হয়। এরপর জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাঙামাটি সদর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আব্দুল খালেক, পিএসসি। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ছুফি উল্লাহ, শিক্ষক প্রশিক্ষক শামসুদ্দীন শিশির এবং বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তা ও পরিচালক ইয়াছিন রানা সোহেল।

বিজিবি রাঙামাটি সদর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আব্দুল খালেক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বর্তমান প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে এই ধরনের আয়োজন খুবই জরুরি। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একদিকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি তারা দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবেও গড়ে উঠবে।’

আলোচনা সভা শেষে বৃত্তিপ্রাপ্ত শতাধিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানস্থলে মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ চিত্রকর্ম প্রদর্শন করা হয়েছে।  

উল্লেখ্য, ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার সালামতপুর গ্রামে ১৯৪৩ সালের মে মাসে জন্মগ্রহণ করেন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ। তৎকালীন পার্বত্য চট্টগ্রামে রাঙামাটি-মহালছড়ি পানিপথ প্রতিরোধ করার জন্য ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের এক কোম্পানি সৈন্যের সঙ্গে বুড়িঘাটে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। ২০ এপ্রিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডো ব্যাটেলিয়নের দুই কোম্পানি সৈন্য, বেশ কয়েকটি স্পিড বোট এবং দুটি লঞ্চে করে বুড়িঘাট দখলের জন্য আক্রমণ করে। মর্টার আর ভারী অস্ত্র দিয়ে চালানো আক্রমণ প্রতিহত করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন মুন্সী আব্দুর রউফ। হঠাৎ একটি গোলার আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তার দেহ। রাঙামাটির নানিয়ারচরের বুড়িঘাটের একটি দ্বীপে সমাহিত করা হয় তাকে।