এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে বগুড়ায় জিপিএ-৫-এর ছড়াছড়ি। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে গত বছরের মতো এবারও বগুড়া জেলা প্রথম স্থান অধিকার করেছে। জেলার মধ্যে বগুড়া জিলা স্কুল শীর্ষে রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বগুড়ার প্রথম সারির ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এবার শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। পরীক্ষার্থী অনুপাতে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বগুড়া জিলা স্কুল জেলার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোস্তাক হাবিব জানান, এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২৩৯ জন ছাত্রের সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩১ জন। ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ ফলাফল এসেছে।
শতভাগ পাসসহ জেলায় দ্বিতীয় হয়েছে, বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ। ২৮০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬৬ জন। অধ্যক্ষ কর্নেল মোহাম্মদ সলমন ইবনে এ রউফ জানান, এ ফলাফলে প্রতিষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অপরিসীম। এ ফলাফল আগামীতেও অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার ২৭০ জন পরীক্ষা দেয়। ২৪৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ফলাফলে প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন সন্তুষ্ট। বগুড়া আরডিএ ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের ২৬২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩১ জন। বগুড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে পরীক্ষা দেওয়া ২৮৬ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০২ জন। বগুড়া পুলিশ লাইনস স্কুল ও কলেজের ১৯৭ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭৫ জন।
বগুড়ার স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজ থেকে এবার শতভাগ পাস নেই। অধ্যক্ষ মুস্তাফিজুর রহমান জানান, একজন শিক্ষার্থী অপহৃত হওয়ায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। ৪৩৩ জনের মধ্যে ৪৩২ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬১ জন। তিনি এ ফলাফলে সন্তুষ্ট।
এসওএস হারম্যান মেইনর স্কুল ও কলেজ থেকে এবার ৫১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫০ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬ জন। নিশিন্দারা ফকির উদ্দিন স্কুল ও কলেজ থেকে ১৮০ জনের মধ্যে একজন ফেল করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯ জন। বগুড়া ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৬৩ জনের মধ্যে ১৬১ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮১ জন।