টুঙ্গিপাড়ায় শিশু ধর্ষণ, ধর্ষকের মা-বোন আটক

ধর্ষণগোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ৬ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শিশুটি উপজেলার একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। মামাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে সে ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মিল্টন ফকির পলাতক রয়েছে। তবে তার মা সাহেদা বেগম, বোন রুমাসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম এনামুল কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অভিযুক্ত মিল্টন ফকিরকে (২৫) গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

ঘটনার শিকার শিশুটিকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শিশুটির মা জানিয়েছেন, মেয়েকে নিয়ে বেশ কয়েকদিন আগে টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাই। বৃহস্পতিবার ইফতারি শেষে পাশের বাড়িতে পানি আনতে যাই। এ সময় আমার মেয়ে বাড়ির উঠানে খেলছিল। বাড়িতে আর কেউ না থাকার সুযোগে আমার সম্পর্কে চাচাত ভাই হাসেম ফকিরের ছেলে মিল্টন ফকির (২৫) মেয়েকে ডেকে তাদের নির্মাণাধীন বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় কাউকে এ ঘটনা না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। আমি পানি নিয়ে বাড়িতে ফিরে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে ডাকাডাকি করি। তখন আমার মেয়ে ওই কক্ষ থেকে কান্নাকাটি করতে করতে বেরিয়ে আসে এবং ঘটনাটি খুলে বলে।

ওই শিশুর মামা আশিক ফকির বলেন, পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় ভাগ্নিকে প্রথমে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে রাত ৯টার দিকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনালের হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক বলেন, ৬ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে শুনেছি। তার ডাক্তারি পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে শিশুটি ধর্ষিতা হয়েছে কি-না।

টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম এনামুল কবীর জানান, শিশুটির মায়ের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত মিল্টন ফকিরের মা ও বোনসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। মিল্টন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।