বন্যা পরিস্থিতি গভীরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা এডিসি (রাজস্ব) আহসান হাবীব।
শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে তিস্তা ব্যারাজের উজানে পানি বিপদসীমার ৫৩.১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ কারণে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এজন্য ফ্লাড বাইপাস কেটে দেওয়া হতে পারে বলে জানান পানি পরিমাপের দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিনুর রশীদ। তিনি বলেন, ‘তিস্তার পানি আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা ৪-৫ দিন স্থায়ী হতে পারে। পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনে ফ্লাড বাইপাসটি কেটে দিতে হতে পারে। এজন্য লোকজনকে নিরাপদে সড়িয়ে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রশাসন সমন্বিতভাবে সবকিছু নিরাপদ করার চেষ্টা করছে।’
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা এডিসি (রাজস্ব) আহসান হাবীব বলেন, ‘নদী তীরবর্তী লোকজন যাতে নিরাপদ অবস্থানে সরে যায় সেজন্য মাইকিং করা হচ্ছে। বন্যায় যে কোনও ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে লোকজনের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি আছে। বন্যা দুর্গত এলাকার লোকজনকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। দহগ্রামের একটি গুচ্ছগ্রাম রক্ষায় কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনও ধরনের খারাপ খবর পাওয়া যায়নি।’
লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও লালমনিরহাট-১ আসনের এমপি (পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা) লেফটেন্যান্ট (অব.) মোতাহার হোসেন বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়ন ও হাতীবান্ধা উপজেলার গোড্ডিমারীসহ ছয়টি ইউনিয়ন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া হাতীবান্ধা উপজেলার ভাটিতে তিস্তা নদীর তীরবর্তী কালীগঞ্জ উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন, আদিতমারীর একটি ইউনিয়ন ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে তিস্তার পানি ঢুকে পড়েছে। এতে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ চেয়ে ঢাকায় কথা বলা হয়েছে। দুর্গত এলাকাগুলোয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন-
পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপরে, তিস্তা ব্যারাজের সব গেট খোলা
কুড়িগ্রামে বিপদসীমার ওপরে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র, পানিবন্দি অর্ধশতাধিক গ্রাম