জাতীয় পার্টির এ নেতা বলেন, ‘এরশাদ অনেক আগেই রংপুরে তার বাসা পল্লী নিবাসে তাকে দাফন করার কথা বলে গেছেন। কিন্তু আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করছি এরশাদকে বাংলাদেশের জনগণের মন থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। সব স্তরের মানুষ যাতে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারে সেজন্যই আমরা রংপুরে তাকে দাফন করতে চাই। পল্লীবন্ধু এইচএম এরশাদের লাশ যদি রংপুর থেকে নিয়ে যাওয়ার কোনও চেষ্টা করা হয়, রংপুরের লাখো নেতাকর্মী বুকের রক্ত দিয়ে তা প্রতিহত করবে। কিন্তু লাশ রংপুর থেকে কোথাও যাবে না। এটা আমাদের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এরশাদের মরদেহ রংপুরে আনার পর কালেক্টরেট মাঠে জানাজা হবে। পরে তার মরদেহ পল্লী নিবাসে দাফন করা হবে। এরশাদের দাফন রংপুর ছাড়া ঢাকায় করার যেকোনও প্রচেষ্টা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা রক্ত দিয়ে হলেও প্রতিহত করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরশাদ মারা যাওয়ার পরপরই দলের মধ্যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তবে এরশাদের ঘোষিত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্বে দল পরিচালিত হবে। সেজন্য জিএম কাদেরের হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানাই।’
মোস্তাফিজার রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর সম্পাদক এসএম ইয়াসির, পঞ্চগড় জেলা জাপা সভাপতি সালেক, রাজশাহী বিভাগের পক্ষে বগুড়া জেলা জাপা সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুখ হোসেন, গাইবান্ধা জেলা সভাপতি আব্দুর রশীদ সরকার, ঠাকুরগাঁও জেলা জাপার সদস্য সচিব আলী রাজু স্বপন, দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জাপা নেতা জুলফিকার আলী, দিনাজপুর জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ আলী, সাবেক নারী সাংসদ শাহানারা বেগম, পীরগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জাপা নেতা মাহবুবার রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন-
এরশাদকে দাফনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার: রাঙ্গা