রিফাত হত্যা মামলা

সাইমুনের স্বীকারোক্তি, রিফাত ফরাজী রিমান্ডে

2bd391da8d9e1619494f7244f96767db-5d1f84b4184da

বরগুনায় রিফাত হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি রিফাত ফরাজীকে তৃতীয় দফায় ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এদিকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার কামরুল হাসান সাইমুন।

সোমবার (১৫ জুলাই) বিকাল ৫টায় বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করা হলে সাইমুন বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধি দেয়। এসময় রিফাত ফরাজীর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।

বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার কামরুল হাসান সাইমুন হত্যাকারীদের নিজের মোটরসাইকেল দিয়ে পালাতে সহযোগিতার কথা স্বীকার করে আদালত জবানবন্দি দিয়েছে। এছাড়াও মামলার দুই নম্বর আসামি রিফাত ফরাজীকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এর আগে প্রথম দফায় রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাত ফরাজীকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় প্রধান আসামি নয়ন বন্ড নিহত হওয়ার সময় অস্ত্র উদ্ধারের মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তৃতীয় দফায় রিফাত হত্যা মামলায় আগামিকে ৭ জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

জানা যায়, রিফাত হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২ জুলাই ভোররাতে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এই ঘটনায় বর্তমানে তিন জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

উল্লেখ্য, ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের দমাতে পারেননি। গুরুতর আহত রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ৫ থেকে ৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।