সিরাজগঞ্জে স্রোতে ভেঙে গেল বাঁধ, ২১ হাজার মানুষ পানিবন্দি

বন্যায় ডুবে গেছে বাড়িঘরসিরাজগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। যমুনার পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকালে বিপদসীমার সেন্টিমিটার ওপরে অবস্থান করছে। উজান থেকে পানি আসা বাড়তে থাকায় কাজিপুর উপজেলার নতুন মেঘাই গ্রাম ও আশপাশে বন্যা আরও বেড়েছে। কাজিপুরের নতুন মেঘাই গ্রামে পানির তোড়ে রিং বাঁধ ভেঙে যমুনার পানি বসতবাড়িতে ঢুকে পড়ছে। পানিবন্দি মানুষ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাইবো) সেকশন অফিসার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার বলেন, বন্যার পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবারের পর বন্যার পানি বৃদ্ধি স্থির থাকতে পারে। নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, পুরো জেলায় পাউবোর লোকজন বাঁধের খোঁজখবর রাখছেন। বাঁধে পানি চোয়ানোর জায়গা দেখা গেলেই বালির বস্তা দিয়ে তা রক্ষা করা হচ্ছে।
ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে যমুনার পানি ঢুকে সয়লাব হয়ে গেছে যমুনা নদী সংলগ্ন নতুন মেঘাই গ্রাম। মঙ্গলবার রাতে ওই গ্রামের বসতভিটা ও ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় অসহায় হয়ে পড়েছেন গ্রামের কয়েকশ’ মানুষ।
কাজিপুর উপজেলা প্রশাসন রিং বাঁধের উল্টোদিকে বালির বস্তা দিয়ে কাজিপুর-ধুনুট সড়কে অস্থায়ী ব্যারিকেড দিয়েছে। কাজিপুর থানার উল্টোদিকে মেঘাই-ধুনুট সড়কটি ডুবে গেছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বুধবার দিনভর স্থানীয় লোকজনকে ডুবে যাওয়া রাস্তার ওপর দিয়ে নৌকা ও কলা গাছের ভেলায় করে গৃহস্থলীর মালপত্র সরাতে দেখা গেছে।

পানিবন্দি ২১ হাজার মানুষ
এদিকে উজান থেকে আসা পানিতে কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী, সদর ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চলের গ্রামগুলো ডুবে গেছে। এসব এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ২১ হাজার মানুষ। কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, তিন বছর আগে কাজিপুর উপজেলা পরিষদ ও পিআইও অফিসের মাধ্যমে নিজস্ব তহবিল থেকে ওই বিকল্প রিং বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ করেই বাঁধটিতে ধস দেখা দেয়। পানিবন্দিদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে পুলি ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ করছেন।