কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় গত বছরের বন্যায় ১৭ হাজার ৯৭৩ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছিল। এতে ৮৩ হাজার কৃষক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ২১৬ কোটি টাকার বেশি।
সোনাতলা উপজেলার নামাজখালি গ্রামের কৃষক রাশেদুল ইসলাম জানান, তার পাঁচ বিঘা জমি বাঙালি নদীর তীরে। হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় তার পাট ও আউশের ক্ষেতে পানি ঢুকে সব নষ্ট হয়ে গেছে। দুই বিঘা জমির অর্ধেক পাট ভেসে গেছে। এছাড়া তিন বিঘা জমির আউশ ধান পুরো নষ্ট হয়েছে। তার মতো এলাকার আরও অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
বগুড়ায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ‘বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পাটের। আমনের বীজতলারও অনেক ক্ষতি হয়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে ৭০ হেক্টর সবজি ও ১০ হেক্টর মরিচের ক্ষেতে।’ ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘রবিবার মন্ত্রণালয়ে যে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে, তাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১২৩ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।’