ডুবে যাওয়া দুই লাইটার জাহাজের ২১ নাবিক জীবিত উদ্ধার

Nabikউত্তাল বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া আবুল খায়ের গ্রুপের মালিকানাধীন ক্লিংকারবাহী জাহাজ এমভি টিটু-১৮ এবং এমভি টিটু-১৯-এর ২১ জন নাবিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে। তবে এখনও দুই থেকে তিনজন নাবিক নিখোঁজ রয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
উদ্ধারকৃত নাবিকদের কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- মিরসরাইয়ের শায়েস্তা খান, ফিরোজ খান, সেলিম, টাঙ্গাইলের সিদ্দিক (ইঞ্জি. ড্রাইভার), হাতিয়ার ইসহাক, সৈকত আলী, ভোলার আবদুর রহিম, ফেনীর ইকবাল হোসেন, শিবলু, ছাগলনাইয়ার আবদুর রহিম এবং মাগুরার মেহেদি।

রাশেদুল আলম খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিকাল ৩টার দিকে জাহাজ দু’টি সাগরে নিমজ্জিত হওয়ার পর বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় নৌবাহিনী এমভি টিটু-১৮ থেকে ১০ জন ক্রু-কে উদ্ধার করে নৌবাহিনী। অপর জাহাজ এমভি টিটু-১৯-এর ১১ জন নাবিককে উদ্ধার করে বিমান বাহিনী। বিমান বাহিনীর দুইটি হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।’

তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬ দিকে উদ্ধার নাবিকদের বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি জহুরুল হক-এ নিয়ে আসা হয়। পরে এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাদের আবুল খায়ের গ্রুপের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আরও দুই থেকে তিনজন নাবিক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে নৌবাহিনীর জাহাজ দুর্জয়, শৈবাল, সুরভী ও সোয়াডস অভিযান পরিচালনা করছে।

প্রসঙ্গত, কুতুবদিয়ার কাছাকাছি গভীর সমুদ্রে বড় জাহাজ থেকে ক্লিংকারবোঝাই করে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ যাওয়ার পথে বুধবার বিকাল ৩টার দিকে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ার অদূরে ঠেঙ্গারচরে জাহাজ দুইটি ডুবে যায়। প্রচণ্ড ঢেউয়ে একটি জাহাজের তলা পেটে যায় এবং অপর জাহাজটির হ্যাজ ভেঙে পড়ে। পরে জাহাজ দু’টি ঠেঙ্গারচর এলাকায় ডুবে যায়। জাহাজটি দু’টিতে ১২ জন করে নাবিক ছিলেন।