‘রোহিঙ্গারা নিরাপত্তা ও সুরক্ষার আশ্বাস না পেলে সাক্ষ্য নেওয়া কঠিন হবে’

কক্সবাজারে মিয়ানমারের তদন্ত দলের সদস্যরা

মিয়ানমার সরকার কর্তৃক গঠিত ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন অফ ইনকোয়ারি’ টিমটি ইতোমধ্যে কক্সবাজার পৌঁছেছে। দেড়শ’ থেকে দুইশ’ রোহিঙ্গার সাক্ষ্য নেওয়ার কথা রয়েছে তাদের। তবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সুরক্ষার আশ্বাস না পেলে রোহিঙ্গারা সাক্ষ্য দেবে না বলে মনে করা হচ্ছে।

কক্সবাজার শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেছেন, ‘‘রোহিঙ্গারা নিরাপত্তা ও সুরক্ষার আশ্বাস না পেলে কক্সবাজারে সফরে আসা ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন অফ ইনকোয়ারি’ টিমের পক্ষে সাক্ষ্য নেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এজন্য বৈঠকে আমরা প্রতিনিধিদলকে বলেছি যে, সাক্ষ্য দেওয়া রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা। বিষয়টি মাথায় রেখেই কাজ করা হবে বলে প্রতিনিধিদলও আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।’’

সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজার শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মিয়ানমাররের তদন্ত দলের প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন মিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম।

তিনি আরও বলেন, ‘‘মিয়ানমার সরকার কর্তৃক গঠিত এই ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন অফ ইনকোয়ারি’ টিমটি মূলত অগ্রগামী দল হিসাবে কক্সবাজারে এসেছেন। এরপর আসবেন ‘এভিডেন্স কালেকশন এবং ভেরিফিকেশন’ নামের আরও একটি প্রতিনিধিদল।’’

বৈঠকে উপস্থিত কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানিয়েছেন, ‘এটি মূলত অগ্রগামী দল। এরপর আরেকটি দল আসবে। তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কীভাবে কাজ করবে না করবে সেটি তদন্ত করার জন্য এই টিমের কক্সবাজারে আসা।’

‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন অফ ইনকোয়ারি’ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত কেনজো ওশিমা। অন্য সদস্যরা হচ্ছেন প্রফেসর অং টুন থেট, প্রফেসর ইউশিহিরো নাকানিশি, লিনা ঘোষ এবং খিন মিউ মিয়াট সো।

উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়টি তদন্তের জন্য ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন অফ ইনকোয়ারি’ গঠন করেছে মিয়ানমার সরকার। ওই কমিশনের একটি প্রতিনিধিদল চার দিনের সফরে গত শনিবার বাংলাদেশে আসে। দলটি এমন একটি সময়ে বাংলাদেশে এলো, যখন ২২ আগস্ট রোহিঙ্গাদের প্রথম দলটি তাদের মাতৃভূমি রাখাইনে প্রত্যাবাসিত হতে পারে। এছাড়াও আগামী মাসে ‘এভিডেন্স কালেকশন এবং ভেরিফিকেশন’ নামের আরও একটি টিম আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো তদন্ত করবেন।