জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ

গোয়ালন্দ থানার সাবেক ওসি ও তার স্ত্রীর কারাদণ্ড

দুদকজ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলামকে সাত বছর ও তার স্ত্রী জাকিয়া ইসলামকে দুই বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক)-এর দায়ের করা মামলায় এই রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম।

বুধবার (২১ আগস্ট) রায় ঘোষণা শেষে সাজার পরোয়ানা ইস্যু করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি সাইফুলকে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাবাস এবং জাকিয়া ইসলামকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

এছাড়াও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের আরেক মামলায় সাইফুল ইসলামকে পৃথক দুই ধারায় আরও সাজা দেওয়া হয়েছে। ধারাগুলো হলো- দুদক কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় দুই বছর কারাদণ্ড; ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৬ মাসের জেল। দুদক কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় পাঁচ বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাবাস।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী জাকিয়া ইসলামকে আসামি করে ২০১০ সালের ২২ জুন রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোজাহার আলী সরদার।

এজাহার থেকে জানা যায়, সাইফুল ইসলাম এবং তার স্ত্রীর সম্পদের নোটিশ জারি করে দুদক। ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সাইফুল ইসলাম নিজ নামে, স্ত্রী ও পোষ্যদের নামে অর্জিত সর্বমোট ৪২ লাখ ৫৫ হাজার ২১ টাকার সম্পদ গোপন করে কমিশনে তথ্য প্রদান করেন। আর জাকিয়া ইসলাম ৩১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার তথ্য কমিশনে জমা দেন। এরপর ২ কোটি ৫০ লাখ ৫৭ হাজার ৭৮৬ টাকার যথার্থ উৎস না থাকায় এবং বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ নিজ দখলে রাখার অভিযোগ করা হয়।

এছাড়াও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৯২৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করে দখলে রাখার অভিযোগে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে একই দিন মোজাহার আলী সরদার মামলাটি দায়ের করেন।

২০১১ সালের ৪ আগস্ট আদালত দুই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।