এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসলে আমরা তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, “আপনারা নাকি এনআরসি তালিকা করছেন। এমনিতেই বাংলাদেশ ১১ লাখ রোহিঙ্গা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।” তখন তিনি প্রকাশ্যেই ওই কথা বলেছিলেন।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আসামের এনআরসি বিষয়ে কোনও নির্দেশনা আছে কিনা– জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ নিয়ে কোনও আলোচনায় বসিনি। যেহেতু ভারত আমাদেরকে বলেছে, এনআরসি বাংলাদেশের ইস্যু হবে না। সেই বিশ্বাস থেকেই এ বিষয়ে আমরা কোনও ধরনের আলাপ করিনি।’
বাদ পড়া অসমীয়রা বাংলাদেশের নাগরিক বলে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেখুন অনেকে অনেক কিছু বলে থাকেন রাজনৈতিক কারণে। বিষয়টি আপনি তাকেই জিজ্ঞেস করুন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। দেশে শিক্ষিত লোকের চাকরির অভাব আছে, কিন্তু সাধারণ শ্রমিকের চাকরির কোনও অভাব নেই। সুতরাং আমাদের লোক এই মুহূর্তে দেশ ছেড়ে যাবে এটি আমার বিশ্বাস হয় না। আমার মনে হয় না এখান থেকে লোক যাবে। যদি গিয়ে থাকে তবে সেটি অনেক আগে ১৯৪৭ সালে বা ১৯৭১-এর আগে। কিন্তু এখন আর কোনও লোক যাওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়।’
প্রসঙ্গত, ভারতের আসামে চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে শনিবার। এ তালিকায় নাগরিকত্ব থেকে বাদ পড়েছে ১৯ লাখ অসমীয়।