ঘটনাস্থল থেকে একটি প্রাইভেটকার, অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবাসহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন প্রাইভেটকার চালক কামাল হোসেন এবং নিহত হৃদয়ের দুই সহযোগী জহিরুল ইসলাম ডলার ও সেলিম।
নিহত হৃদয় সোনারগাঁ উপজেলার মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর এলাকার মৃত সবুজ মিয়ার ছেলে। তিনি থানা পুলিশের মাদক ব্যবসায়ীর তালিকার এক নম্বর ব্যক্তি। তাকে ধরতে পুলিশ ১০ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল। হৃদয়ের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় হত্যা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে কমপক্ষে ১৭টি মামলা রয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে।
র্যাব-১১ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিমউদ্দিন জানান, ‘বুধবার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চেংরাকান্দি এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছিলো। এ সময় হৃদয়ের গাড়িকে সিগন্যাল দিলেও সে না থামিয়ে গাড়ির জানালা খুলে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে তখন র্যাবও পাল্টা গুলি করে। একপর্যায়ে র্যাবের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলির পর ঘটনাস্থলেই নিহত হয় তিনি। পরে সেখান থেকে তিন জনকে আটক করা হয়।’
তিনি আরও জানান, বন্দুকযুদ্ধের সময় সৈনিক সৌরভ রায় ও কনস্টেবল ওবায়দুল আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে মাদক ব্যবসায় ব্যবহৃত গাড়িসহ দুই রাউন্ড গুলিভর্তি একটি বিদেশি পিস্তল, ৫শ’ পিস ইয়াবা ও বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে।