সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ১৫২ জনকে নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও এখন পর্যন্ত এ সংখ্যা বাড়েনি। জনবহুল মহানগরের জন্য আরও জনবল প্রয়োজন। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আজাদ মিয়া, উপপুলিশ কমিশনার ট্রাফিক মো. আরিফুল হক, উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মনজুর রহমান।
সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহ শামসুল হক রিপন, অধ্যাপক মুকুল কুমার মল্লিক, মো. মাজহারুল ইসলাম মাসুম, অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন, প্রভাষক মো. আবুবকর সিদ্দিক আকন্দ, মো. আমিনুল ইসলাম, মাহমুদ আল আমিন, মাহমুদা শিকদার প্রমুখ।
সাংবাদিক বক্তারা গাজীপুরের বিভিন্ন মহাসড়ক এবং আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। এছাড়া মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় মাদক সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ছিনতাই এবং নতুন করে জেগে ওঠা কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণের অনুরোধ করেন।
পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এসব বিষয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, অচিরেই জনদুর্ভোগ কমাতে গাজীপুর মহানগরের মহাসড়ক এবং আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতে পর্যাপ্ত পরিবহনের সংস্থান এবং ভাড়া নির্ধারণ করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টানিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘মাদক ব্যবসায়ীর পরিচয় কেবলই মাদক ব্যবসায়ী। পুলিশের কাছে তার অন্য কোনও পরিচয় নেই। এ মানসিকতা নিয়েই গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ গাজীপুর মহানগর এলাকায় মাদকসহ অন্যান্য অপরাধ দূর করতে কাজ করে যাচ্ছে।’ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনায় রাখার কথা উল্লেখ করেন তিনি। মহানগরের অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে পুলিশি নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে বলেও তিনি জানান।
আজ গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানায়ও বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের যাত্রা শুরু হয়।