স্কুল ব্যাংকিংয়ের টাকায় ক্ষুদ্র ঋণ

534f59a0312d6a5c256a9ea8eab3b856-5d7950f117a24

স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারের চালু করা স্কুল ব্যাংকিংয়ে হিসাব খুলতে বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এটি। স্কুল শিক্ষার্থীরা তাদের টিফিনের জন্য নেওয়া টাকা থেকে একটা অংশ ব্যাংকে জমাতে শুরু করে। আর এভাবেই খুলনার ব্যাংকগুলোতে শিক্ষার্থীদের ১২৩ কোটি টাকা জমা হয়েছে। ইতোমধ্যেই ব্যাংকগুলো এই অর্থ ক্ষুদ্র ঋণে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে।

জানা যায়, খুলনায় সরকারি ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ১ লাখ ৮৭ হাজার ১০৩টি স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খোলা হয়েছে। এসব হিসাবে জমা রয়েছে ১২৩ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্কুল ব্যাংকিংয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে নিয়মিত ক্যাম্পেইনসহ নানা ধরণের কার্যক্রম চলানো হচ্ছে ব্যাংকগুলোতে। গত বছরের জুন মাস পর্যন্ত এই হিসাবের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৬১ হাজার ৩৪৭টি এবং জমা হয় ১০৪ কোটি ৬২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। এবছর পর্যন্ত হিসাব বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৬টি।

বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা শাখার সহকারী পরিচালক মো. নওয়াজ শরীফ বলেন, ‘সরকারি ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী সব ব্যাংকেই এই হিসাব খোলা হচ্ছে। এই হিসাবের অর্থ ইতোমধ্যেই ক্ষুদ্র ঋণে বিনিয়োগ করা শুরু হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্কুল ব্যাংকিংয়ের হিসাব খোলার কার্যক্রম একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিটি ব্যাংক স্কুল নির্ধারণ করে নিয়মিত এই হিসাব খুলছে। এই হিসাব খোলার মাধ্য শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ী মনোভাব গড়ে তোলা হচ্ছে।’

মহানগরীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিউর রহমান বলেন, ‘স্কুল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ের মনোভাব সৃষ্টি হয়। এর মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত আর্থিক সচ্ছলতা নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনই শিক্ষার্থীরা ঘনিষ্ঠজনদের কাছ থেকে টাকা নিলেও তা সম্পূর্ণ খরচ করে না। কিছু না কিছু টাকা জমায়। আর এ টাকা নিজেদের কাছে বা মায়েদের কাছে রেখে দেয়। যা পরে ব্যাংকে জমা হয়। এভাবে শিশুদের সঞ্চয়ের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে।’

আরও খবর: স্কুল শিক্ষার্থীরা ব্যাংকে রেখেছে দেড় হাজার কোটি টাকা