অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যার মামলায় ভাসুরের মৃত্যুদণ্ড

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আমির হোসেননারায়ণগঞ্জের বন্দরে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবূধ তাসলিমা হত্যা মামলায় নিহতের ভাসুর আমির হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শেখ রাজিয়া সুলতানা আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত একইসঙ্গে আসামিকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আমির হোসেন বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ ইসলামবাগ এলাকার মৃত ফালান ব্যাপারীর ছেলে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সালাউদ্দিন সুইট জানান, আসামি আমির হোসেন স্থানীয় বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে কিস্তির টাকা পরিশোধ না করে পালিয়ে বেড়াতেন। এনজিও সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা তার সন্ধান পাওয়ায় আমির হোসেন এ ব্যাপারে তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তাসলিমাকে সন্দেহ করেন। সেই থেকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাসলিমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। ২০১৪ সালের ৩ জুলাই ভোর রাতে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা তাসলিমা সেহরি খাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হন। এসময় আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা ভাসুর আমির হোসেন তাকে ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তাসলিমার মৃত্যু হয়।

পরে তাসলিমার স্বামী মনির হোসেন বন্দর থানায় বাদী হয়ে বড় ভাই আমির হোসেনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় পুলিশ আসামি আমির হোসেনকে গ্রেফতার করলে তিনি হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর মামলা চলমান থাকার পর আদালত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে এ রায় দেন। মামলার বাদী মনির হোসেন রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত তা কার্যকরের দাবি জানান।