সেপ্টেম্বরে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ এসেছে ৩ হাজার ৫৭৩ মে. টন

টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে মিয়ানমারের পেঁয়াজ

কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে সেপ্টেম্বর মাসে মিয়ানমার থেকে ৩ হাজার ৫৭৩ দশমিক ১৪১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। এছাড়াও আরও কয়েক হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দুই-তিনদিনের মধ্যে স্থলবন্দরে এসে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা। অবশ্য দেশের বাজারে এসব পেঁয়াজ ঢুকলেও বাজার দরে এর প্রভাব এখনও টের পাওয়া যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ছয়জন ব্যবসায়ীর মিয়ানমার থেকে আমদানি করা ৩৫২ দশমিক ১৪১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে এসে পৌঁছে। ৫০ কেজি প্রতি বস্তা পেঁয়াজ শ্রমিকেরা ট্রলার থেকে খালাস করে ট্রাকে বোঝাই করেছেন। স্থলবন্দরে পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাকগুলো সারি সারিভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থলবন্দর ছেড়ে যায়।

স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানায়, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৭৩ দশমিক ১৪১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে মিয়ানমার থেকে। এর মূল্য ১৫ কোটি ৫৫ লাখ ২৪ হাজার ৩৫৭ টাকা। এসব পেঁয়াজ ১০-১২ জন ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। এর আগে আগস্টে ৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়।

আসছে মিয়ানমারের পেঁয়াজ

কয়েকজন আমদানিকারক বলেন, মিয়ানমারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৪৩ টাকা। এ পেঁয়াজ টেকনাফ থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছাতে পরিবহন, শ্রমিকসহ কেজি প্রতি আরও ৫ টাকার মতো খরচ হচ্ছে।

আমদানিকারক এমএ হাশেম, মোহাম্মদ সেলিম ও নুরুল কায়েস সাদ্দাম বলেন, মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর থেকে কয়েক হাজার মেট্রিক টন ভর্তি পেঁয়াজের জাহাজ সমুদ্রপথে রয়েছে। সেগুলো কয়েকদিনের মধ্যে টেকনাফ স্থলবন্দরে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

স্থানীয় নুর হাকিম নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, মিয়ানমার থেকে প্রচুর পরিমাণ পেয়াজ আমদানি হলেও বাজারে কোনও প্রভাব পরেনি। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। এতে লোকজনের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।

টেকনাফ স্থলবন্দরে কাস্টমস সুপার আবছার উদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়ছে। টেকনাফ স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি করা পেঁয়াজগুলোর খালাস কার্যক্রম দ্রুত শেষ করে সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে পেঁয়াজের সংকট মোকাবিলায় ব্যবসায়ীদের আমদানি আরও বাড়াতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।