এ বিষয়ে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
অনুষ্ঠানের বিষয়টি অস্বীকার করে থানার ওসি আল মামুন বলেন, ‘এটা থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের একটি পারিবারিক অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে সবাই তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছিলেন। খাওয়া-দাওয়াসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।’
অনুষ্ঠানের আয়োজনের কথা স্বীকার করে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম (গণমাধ্যম) জানান, এরকম অনুষ্ঠান আয়োজনের কোনও নিয়ম নেই। তবুও এই অনুষ্ঠান আয়োজনের কারণে ওসির কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমার জীবনে এই প্রথম দেখলাম থানার ওসি যোগদানের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান পালন করতে। এরকম অনুষ্ঠানে দেশের কোথাও হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। আমি মনে করি এরকম অনুষ্ঠান পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।’
ওসমানী নগর থানার দু’জন পুলিশ সদস্য জানান, অনুষ্ঠানটি মূলত থানার ওসি স্যার যোগদানের একবছর পূর্তিতে আয়োজন করা হয়। সেখানে থানার অনেক সিনিয়র পুলিশ সদস্য টাকাও দিয়েছেন। অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন কয়েকজন। আর এসবের তত্ত্বাবধানে ছিলেন ওসি স্যার। অনুষ্ঠানে পুলিশ সদস্যদের কয়েকটি পরিবার ছাড়াও আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতাও উপস্থিত ছিলেন। তবে তারা দাওয়াত পেয়ে অনুষ্ঠানে এসেছিলেন।