টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা নিহত

12কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের এ ব্লকের সুলতান আহম্মেদের ছেলে আবুল হাসিম (২৫) এবং একই শিবিরের সি ব্লকের আবু সিদ্দিকের ছেলে নূর কামাল (১৯)।
শুক্রবার ভোরে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং লম্বাবিল এলাকায় নাফ নদীর তীরে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে। বিজিবি বলছে, নিহত দুইজন ইয়াবা পাচারকারী ছিল। তারা মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় চালান নিয়ে আসছিল।

বিজিবি জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা, একটি দেশীয় বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজসহ কিরিচ জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিজিবি তিন সদস্যও আহত হয়েছে। টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান শুক্রবার সকালে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মিয়ানমার থেকে একটি ইয়াবার চালান এনে নাফ নদী দিয়ে টেকনাফের হোয়াইক্যং লম্বাবিল এলাকায় প্রবেশ করছে। এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি-র একটি বিশেষ দল ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় একটি নৌকা থামানোর নির্দেশ দিলে লাফ দিয়ে দুই পাচারকারী পালনোর চেষ্টা করে। ধাওয়া করলে তারা বিজিবি-র ওপর গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে বিজিবি পাল্টা গুলি চালালে দুই পক্ষের মধ্যে ৮ থেকে ১০ মিনিট ধরে গোলাগুলি হয়। এ সময় পাচারকারীরা গুলি চালিয়ে নৌকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন, পরে ওই এলাকায় তল্লাশি করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের কক্সবাজার হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। পরে সেখানকার চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ কিরিচ জব্দ করা হয়েছে। লাশ দুটি কক্সবাজার মর্গে রয়েছে এবং এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলেছে।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানে আলম বলেন, দুই রোহিঙ্গার শরীরে গুলির আঘাত রয়েছে। আহত তিন বিজিবি সদস্যকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

গত দুই বছরের বেশি সময়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় মাদকবিরোধী অভিযানে ১৭৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে মোট ৪৯ জন রোহিঙ্গা। নিহতদের তালিকায় তিন নারীর নামও রয়েছে।