‘সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে জরিপ করা হবে’

সুন্দরবন (ফাইল ফটো) ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে জরিপ করা হবে। সুন্দরবন এলাকা ঘুরে দেখে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য তুলে ধরবেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। এতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগতে পারে। ২০০৯ সালের মতো এবারও বুক চিতিয়ে খুলনাসহ উপকূলীয় অঞ্চলকে রক্ষা করলো সুন্দরবন। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে সুন্দরবনের গাছপালা উপড়ে পড়েছে। সুন্দরবনের পশ্চিম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত বনবিভাগের সাতটি স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনও বন্যপ্রাণীর ক্ষতি হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।
সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বশিরুল আল মামুন বলেন, সুন্দরবনের সামগ্রিক ক্ষতি নিরূপণের চেষ্টা চলছে। সার্ভে না করে সুন্দরবনের বিষয়ে অনুমান করে কিছু বলা ঠিক হবে না। প্রাথমিকভাবে কোনও বন্যপ্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। কারণ ভাটার সময় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। ফলে জলোচ্ছ্বাস ছিল না। দমকা হাওয়ার কারণে বনের ভেতরের গাছপালা উপড়ে পড়ে এবং ডাল ভেঙে গেছে। এ কারণে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই নিরূপণ করা কঠিন। স্বচক্ষে দেখে ক্ষয়ক্ষতির একটি সুষ্ঠু ও নির্ভুল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করছি। সেজন্য দুই থেকে তিন দিন সময় লাগতে পারে।
তিনি জানান, বুলবুলের আঘাতে সাতক্ষীরা রেঞ্জের পুষ্পকাঠি ফরেস্ট স্টেশনের ঘরের টিনের চালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কদমতলার এফজি ব্যারাকের টিনের চাল উড়ে গেছে ও রান্নাঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাঠশ্বর অফিসের ছোট ট্রলার নদীতে ডুবে গেছে এবং পাকঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোবাদক স্টেশনের কাঠের ১০০ ফুট দৈর্ঘের জেটিটি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ব্যারাকের চাল ও রান্নাঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চুনকুড়ির সোলার প্যানেল উড়ে নদীতে ভেসে গেছে। দোবেকি টহল ফাঁড়ির ৪০ ফুট দীর্ঘ পন্টুনটি ভেঙে গেছে। নলিয়ান রেঞ্জ অফিসে যাতায়াতের রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এই অফিস ঘিরে থাকা গাছপালা ভেঙে পড়েছে। পশ্চিম সুন্দরবনের আওতায় ৩৬টি ক্যাম্প, ফাঁড়ি, রেঞ্জ ও স্টেশন রয়েছে বলে তিনি জানান।