এলাকাবাসী, পুলিশ ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছরের এসএসসির নির্বাচনি পরীক্ষায় ৮০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ৬৮ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। অকৃতকার্য ১২ শিক্ষার্থী ফরম পূরণের জন্য নানাভাবে তদবির করতে থাকে। এতে কোনও সুফল না পেয়ে শনিবার রাতে অকৃতকার্য
শিক্ষার্থী মুরাদসহ সাতজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় সভাপতি পিস্তলের এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে ফরম পূরণ করা যাবে না। তাই অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণে অপারগতা প্রকাশ করি। এ কারণে শনিবার রাতে অকৃতকার্য শিক্ষার্থী মুরাদসহ বহিরাগত সাতজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। এ সময় আত্মরক্ষার জন্য আমি এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে আসে।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘৮০ জন শিক্ষার্থী চলতি এসএসসির নির্বাচনি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৬৮ জন কৃতকার্য হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, অকৃতকার্য ১২ জনের ফরম পূরণের কোনও সুযোগ নেই। শুনেছি এরই জের ধরে শনিবার রাতে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বাড়িতে হামলা হয়েছে।’
ওসি মো. রমিজুল হক জানান, খবর পেয়ে শনিবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিদ্যালয়ের সভাপতির ব্যবহার করা পিস্তল জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় জিডি মূলে তদন্ত করা হচ্ছে। শুনেছি পিস্তল দিয়ে দুই রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে।