যুবলীগের সম্মেলনে মারামারি, ফিরে গেলেন নওফেল

২৩

চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সম্মেলনে নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। অনুষ্ঠানে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় বক্তব্য না রেখে সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেছেন প্রধান অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।  

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে নগরীর লালদীঘি মাঠের অনুষ্ঠানস্থলে এই মারামারির ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী নেতাকর্মীরা জানান, বিকাল ৩টার দিকে সম্মেলন শুরু হয়। বিকাল ৫টার দিকে বিশেষ অতিথি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলতাফ হোসেন বাচ্চু বক্তব্য দিচ্ছিলেন। তখন প্রধান অতিথি ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল অনুষ্ঠানস্থলে এসে উপস্থিত হন। তিনি আসার পর স্লোগান, পাল্টা স্লোগান দিতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। এরই একপর্যায়ে দুই পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। কিছু নেতাকর্মী মাঠ থেকে সড়কে অবস্থান নিয়ে পাথর নিক্ষেপ করেন। এ পরিস্থিতিতে বক্তব্য না দিয়ে সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

আরও জানা যায়, প্রতিপক্ষের ছুড়ে মারা চেয়ারের আঘাতে নগরীর সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মোবারক হোসেন আহত হন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত নগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সাকু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রধান অতিথির আগমনকে কেন্দ্র করে স্লোগান, পাল্টা স্লোগানের সময় কারও সঙ্গে কারও হয়তো ধাক্কাধাক্কি লেগেছে। ধাক্কাধাক্কির কারণে হয়তো কেউ বসতে না পেরে চেয়ার ওপরে ছুড়ে মারে। সেই চেয়ার গিয়ে কারও গায়ে পড়লে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।’

কাউন্সিলর মোবারকের বন্ধু ও নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ‘অনুষ্ঠানে আসা নারীদের বসানোর জন্য আমাদের ছেলেরা কয়েকজনকে চেয়ার ছেড়ে দিতে বলে। এরপর তারা আমাদের ছেলেদের দিকে চেয়ার ছুড়ে মারে। একটি চেয়ার এসে মোবারকের মুখে পড়ে। পরে আমরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসি।’

তবে যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাবেদুল সুমন বলেন, ‘যুবলীগ নেতা মোবারক ও যুবলীগ নেতা ওয়াসিমের অনুসারীরা একই সঙ্গে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে ঢোকার চেষ্টা করলে সমস্যা সৃষ্টি হয়।’  

এ সম্পর্কে  নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, ‘রাস্তায় অনেকে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কারও গায়ের সঙ্গে হয়তো কেউ লেগে গেছে, যা নিয়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটতে পারে। পরবর্তীতে হয়তো চেয়ার ছুড়ে মেরেছেন।’  

তিনি আরও বলেন, ‘কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে আমরা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। আমরা এখনও তথ্য সংগ্রহের পর্যায়ে আছি। ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর এ বিষয়ে বলতে পারবো।’