পেঁয়াজ ক্ষেতে রাত জেগে কৃষকের পাহারা

শেরপুরে পেঁয়াজ ক্ষেতে রাত জেগে কৃষকের পাহারাসারাদেশে কাঁচাবাজারে পেঁয়াজের দাম সর্বোচ্চ। কবে দাম কমবে তার নিশ্চয়তা নেই। এ অবস্থায় চুরি হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রাতে পেঁয়াজের ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন শেরপুরের চাষিরা।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে উপজেলার মোবারকপুরের চাষি মারফত আলীকে কুয়াশার মধ্যেই তার নিজের পেঁয়াজের ক্ষেত পাহারা দিতে দেখা যায়। নিজের ৮০ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন মারফত আলী (৩৫)। তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজের সংকট, এর মধ্যে দামের এই অবস্থা। আমার জমির বেশিরভাগ পেঁয়াজ এখনও খাওয়ার যোগ্য হয়নি। চোরেরা চুরি করতে পারে তাই সন্ধ্যার পর থেকেই রাত জেগে এই কুয়াশার মধ্যে ক্ষেত পাহারা দিচ্ছি। আমার ক্ষেতের অর্ধেক পেঁয়াজ ৯০ হাজার টাকা দাম করেছে পাইকাররা। পেঁয়াজ চাষ করে জীবনে এই প্রথম এত দাম শুনলাম। দীর্ঘদিনের পেঁয়াজের লোকসান এবার উঠে আসবে বলে আশা করছি।’

একইভাবে রাত জেগে পেঁয়াজ ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন তার ভাই শরাফত আলী, আব্দুল হামিদসহ অন্য কৃষকরা।

এদিকে, শ্রীবরদী উপজেলার লংগর পাড়া বাজার, ঝিনিয়া বাজার, ইন্দিলপুর বাজার ও ঝিনাইগাতি উপজেলার কোনাগাঁও বাজার, তেতুলতলা বাজার, পাইকরা বাজারসহ জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় কাঁচা পেঁয়াজ পাতা ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি আঁটি ৩০ টাকা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘চলতি মৌসুমে জেলার পাঁচটি উপজেলার ৬৯০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চাহিদা থাকায় এবার পেঁয়াজ চাষিরা বেশ লাভবান হবেন বলেও আশা করছি।’