দ্বিপক্ষীয় আলোচনা: ৯ ডিসিসহ ৫৯ কর্মকর্তা ভারতে

ভারতে গেলেন বাংলাদেশি কর্মকর্তারাসীমান্ত দিয়ে চোরাচালান, গরু ও মাদক পাচার রোধ, সীমানা পিলার রক্ষণাবেক্ষণ, ছিটমহল, নদীরক্ষা ও স্থলবন্দরগুলোর কার্যক্রম উন্নতিকরণসহ নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ৯ জেলা প্রশাসকসহ ৫৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে গেছেন। ভারতের আমন্ত্রণে এই সফরে গেছেন তারা।

জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক জাকির হোসেনের নেতৃত্বে ৫৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি ভারতে যাওয়ার সময় সীমান্তের শূন্যরেখায় ভারতের মালদহ জেলার এডিএম অর্নব সাহা, ডেপুটি ডিএম ইস্তার লেপচা, রাজু শেরপা ও লিটন সাহা তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।সীমান্তে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা জানান ভারতীয় কর্মকর্তারা

প্রতিনিধি দলে জয়পুরহাট, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ, চাপাইনবাবগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার ডিসি, পুলিশ সুপার, বিজিবি কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ভূমি জরিপ অধিদফতরের কর্মকর্তা ও কাস্টমস কর্মকর্তারা রয়েছেন। এর আগে প্রতিনিধি দলটি হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায় আসলে হাকিমপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আখিউল ইসলাম, হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ হারুন, হাকিমপুর পৌরমেয়র জামিল হোসেন চলন্ত, হাকিমপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ তাদের শুভেচ্ছা জানান।

জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক জাকির হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘ভারতের মালদহয় দুই দেশের ডিসি-ডিএম বৈঠকে যোগ দেবে ৯ জেলার জেলা প্রশাসকসহ ৫৯জনের এই প্রতিনিধি দল। সেখানে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান, গরু পাচার, মাদক পাচার, দুই দেশের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, সীমানা পিলার যেগুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে যেসব পিলার ভেঙেচুরে গেছে সেগুলো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা, সার্ভে করা, ছিটমহলগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। এছাড়া হিলি স্থলবন্দরসহ উত্তরবঙ্গের আরও যেসব স্থল বন্দর রয়েছে সেগুলোর সঙ্গে আমাদের যে বাণিজ্যিক বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো যেন আরও ভালো হয় সেবিষয়ে আলোচনা হবে। সরকারের আগামী দিনের উন্নয়ন কার্যক্রমে আমাদের কী করণীয়, আমরা কী করছি, সে বিষয়গুলো আমরা সেখানে উপস্থাপন করবো। আমরা আশা করছি ভারতের সঙ্গে এসব বিষয়ে আলোচনায় সুন্দর সমাধান আসবে।’