নিখোঁজের একবছর পর ব্যবসায়ীর কঙ্কাল উদ্ধার

উদ্ধার করা কঙ্কাল ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নিখোঁজ হয়েছিলেন সবজি ব্যবসায়ী কাওসার হোসেন (৩৫)। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পুলিশ ও স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনও হদিস পাননি। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ঘটনার প্রায় একবছর পর বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে একটি ডোবা থেকে কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, কঙ্কালটি কাওসারের।

কাওসার উপজেলার ওটরা গ্রামের হালিম হাওলাদারের ছেলে এবং তিনি ভবানীপুর বাজারে সবজি বিক্রি করতেন।

ডোবা থেকে কাওসারের ব্যবহৃত জ্যাকেট, মানিব্যাগ, জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে। উজিরপুর থানার ওসির ধারণা, হত্যার পর লাশ ডোবার পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়েছিল।

উজিরপুর থানার ওসি জিয়াউল আহসান জানান, ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর কাওসার নিখোঁজ হন। ওই সময় থানায় একটি জিডিও করা হয়েছিল। পুলিশ ও স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি করে। তবে সন্ধান পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার এক নারী কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে ডোবার পাশে জ্যাকেট দেখতে পান। জ্যাকেটটি ধরতেই তাতে মোড়ানো কঙ্কাল দেখতে পান। এরপর স্থানীয় লোকজনকে খবর দিলে তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কঙ্কাল, জ্যাকেট, জাতীয় পরিচয়পত্র, মানিব্যাগ ও মোবাইল উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত মালামাল দেখে পরিবারের লোকজন প্রাথমিকভাবে কাওসারের লাশ বলে শনাক্ত করে।

তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে হত্যার পর মরদেহ গুম করতে ডোবায় ভারী কিছু দিয়ে বেঁধে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। ডোবার পানি শুকিয়ে যাওয়ায় মরদেহটি বেরিয়ে আসে। মরদেহের ডিএনএ টেস্টের জন্য কঙ্কাল বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কাওসারের স্বজনদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।