প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা, খুনি আটক

গ্রেফতারের প্রতীকী ছবিমানিকগঞ্জের সিংগাইরে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক রোকমান হোসেনকে (৩৫) আটক করেছে থানা পুলিশ। রোকমান একই উপজেলার ব্রি-কালিয়াকৈর গ্রামের আমোদ আলীর ছেলে। ঘটনার শিকার নারী শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে প্রতিবন্ধী ছিলেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০ টার দিকে ওই নারীকে হত্যা করা হয়। নিহত ছমিরন (৪৫) নামে উপজেলার গোলাইডাঙ্গা বাস্তা গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে।

মামলার এজহার ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৭টার দিকে ছমিরনকে বাড়িতে একা রেখে পরিবারের অন্যান্য সদস্য স্থানীয় আশরাফিয়া জামিয়াতুল মাদ্রাসায় ওয়াজ শুনতে যান। ওয়াজ শেষে রাত পৌনে ১টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন নিহত ছমিরনের ভাবী সেবিকা আক্তার সুমিসহ স্বজনরা। ফেরার পথে তারা বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় রোকমানকে দ্রুত হেঁটে যেতে দেখেন। পরে ঘরে গিয়ে খাটের ওপর ছমিরনের গলা কাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখেন তারা। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদসহ স্থানীয়দের জানানো হয়।

সেবিকা আক্তার বলেন, ঘটনাটি জানার পর ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদসহ এলাকার লোকজন রাত ৩টার দিকে রোকমানকে ধরে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। তখন রোকমান ধর্ষণের পর খুনের কথা স্বীকার করে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দেয়।

খুনি রোকমানের বরাত দিয়ে সেবিকা আক্তার সুমি জানান, ৬-৭ বছর আগে ছমিরনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় রোকমান। এরপরও নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় সে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরের বেড়া ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে ছমিরনকে ধর্ষণ করে সে। পরে যৌন সন্ত্রাসের ঘটনা ধামাচাপা দিতে রান্নাঘর থেকে ধারালো বটি এনে ভিকটিমকে গলা কেটে হত্যা করে।

সিংগাইর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) আব্দুর সাত্তার মিয়া জানান, খবর পেয়ে শুক্রবার ভোরে রোকমান হোসেনকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো বটি ও বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাবী সেবিকা আক্তার থানায় মামলা করেছেন।