খুলনা অঞ্চলের ৯ পাটকলে আমরণ অনশন চলছে

খুলনা-যশোর অঞ্চলের নয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের অনশনরত শ্রমিকরা সারাদেশের মতো খুলনা-যশোর অঞ্চলের নয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকরাও আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। পাটখাতে প্রয়োজনী অর্থ বরাদ্দ, মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, নিয়মিত মজুরি পরিশোধসহ ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে তারা এ কর্মসূচি পালন করছেন। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ২টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদ আহুত ছয় দিনের কর্মসূচির ষষ্ঠ দিনে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন জানান, শ্রমিকরা সকাল থেকে পাটকলে উৎপাদন স্বাভাবিক রাখেন। তারা বেলা ২টায় কাজ থেকে বের হয়ে স্ব স্ব পাটকলের উৎপাদন বন্ধ রেখে মিলগেটে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন। খালিশপুর শিল্পাঞ্চলের চারটি জুট মিলের শ্রমিকরা ক্রিসেন্ট গেটে অনশন মঞ্চে আসেন এবং অনশনে যোগ দেন।

তিনি আরও বলেন, ‘ইতোপূর্বে বিএনপি জোট সরকারের আমলে আন্দোলনে শ্রমিকরা জীবন দিয়েছে। এবারও ন্যায্য দাবি আদায়ে জীবন দিতেও প্রস্তুত তারা। ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলন করে চাকরি হারিয়েছি। মামলার শিকার হয়েছি ও জেল খেটেছি। এবার জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত।’

প্লাটিনাম জুট মিলের সিবিএ’র সভাপতি শাহানা শারমিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার অন্যতম দফা পাটখাতকে আধুনিকায়ন করা। এ কাজটি করতে শ্রমিকবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ জরুরি। এটি বাস্তবায়ন হলে পাট খাতের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক-কর্মচারীদের আর কষ্টের দিন থাকবে না।’  তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘পাটকলের মালিক পরিষদের কতিপয় ষড়যন্ত্রকারীর চক্রান্তের শিকার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল। যে কারণে পিছিয়ে পড়ছি আমরা।’

প্লাটিনাম জুট মিলের সাবেক সভাপতি কওছার আলী মৃধা বলেন, ‘শ্রমিকরা যার যা কাঁথা-কম্বল নিয়ে অনশনে নেমেছে।

প্লাটিনাম মিলের সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘পাটকল শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান করতে যদি মরতে হয় তবুও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চলবে।’

অনশন চলাকালে আয়োজিত সমাবেশে পাটকল শ্রমিক নেতারা বক্তৃতা করেন।

উল্লেখ্য, ১১ দফা দাবিতে গত ১৭ নভেম্বর ৬ দিনের কর্মসূচির ডাক দেয় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদ। গত ২৫ নভেম্বর থেকে কর্মসূচী শুরু হয়। এ কর্মসূচিতে খালিশপুর শিল্প এলাকার ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দিঘলিয়ার স্টার, আটরা শিল্প এলাকার আলীম, ইস্টার্ন এবং নওয়াপাড়া শিল্প এলাকার জেজেআই ও কার্পেটিং জুট মিলের শ্রমিকরা অংশ নিচ্ছেন।