পুকুর খননের টাকা আত্মসাতের মামলায় উপসহকারী প্রকৌশলীসহ আটক ২

দুদক

দিনাজপুরে পুকুর খনন, সীমানা প্রাচীর খনন ও বালু বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জেলা মৎস্য কার্যালয়ের দুজনকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আসামিরা হলেন- দিনাজপুর জেলা মৎস্য কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মঞ্জুরুল ইসলাম ও ঠিকাদার আফসার আলী। আটক উপসহকারী প্রকৌশলী মঞ্জুরুল ইসলাম জেলার বিরল উপজেলার কাজীপাড়া বালান্দর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ ও আফসার আলী বিরল উপজেলার ফরাক্কাবাদ এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে দিনাজপুর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সদস্যরা।

দুদক সূত্রে জানা যায়, পরস্পরিক যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলহাট এলাকার মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারের চারটি পুকুর পুনঃখনন বাবদ ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৫ টাকা, সীমানা প্রাচীর পুনঃনির্মাণ বাবদ ৭৯ হাজার ৯২৫ টাকা এবং চারটি পুকুর পুনঃখনন বাবদ উত্তোলিত বালু অবৈধভাবে বিক্রি বাবদ ৭ লাখ ৪৭ হাজার ৯৫০ টাকা সর্বমোটে ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ৭২১ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। তাই শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় এজাহার নামীয় আসামী হিসেবে দুজনকে আটক করা হয়।

এই মামলার আরও দুই আসামি হলেন- পুলহাট মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারের ব্যবস্থাপক ও সদর উপজেলার কমলপুর ফাইহাই গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন ফয়জার রহমান এবং ঠিকাদার আফসার আলীর স্ত্রী মেসার্স দ্বীপ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী দিলরুবা আলী।

দিনাজপুর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান জানান, আসামিদের পুলিশের মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।