‘বিএনপি পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির কুফল ভোগ করছে, আ.লীগও করবে’

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. দিলারা চৌধুরী
বিএনপি বর্তমানে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির কুফল ভোগ করছে, ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগও করবে বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. দিলারা চৌধুরী। জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কৃত নেতা মজিবুর রহমান মনজুর ‘জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার সকালে কক্সবাজারের একটি হোটেলে দুইদিনব্যাপী ওই কর্মাশালা আয়োজন করা হয়।

দেশের রাজনীতি এখন পরিবারতান্ত্রিক হয়ে গেছে মন্তব্য করে দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি এখন পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির কুফল ভোগ করছে। আগামীতে আওয়ামী লীগও ভোগ করবে। বর্তমানে বিএনপি জিয়া পরিবার ছাড়া অচল। একইভাবে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনা পরিবার ছাড়া অচল। দেশে কোনও নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি না হওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ‘দেশের রাজনীতিতে এখন শুন্যতা বিরাজ করছে। এই রাজনৈতিক শুন্যতা থেকে বড় রাজনৈতিক দল জন্ম নেয়।’ ‘জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’ মানুষের আকাঙ্ক্ষা, গণতন্ত্র ও দেশের কথা বলবে বলেও আশা রাখেন তিনি।

‘জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’ আয়োজিত কর্মশালা

কর্মশালায় ‘জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’-এ যোগ দেন জামায়াতে ইসলামীর প্রভাবশালী নেতা আবু হেনা এরশাদ হোসেন সাজু। তিনি নিজ অনুসারীদের নিয়ে এই সংগঠনে যোগ দেন।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মজিবুর রহমান মনজু। তিনি বলেন, দেশে চলমান রাজনীতি নিয়ে মানুষ হতাশ। আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। হতাশার মাঝেই আমরা রাজনীতিতে নতুন দ্বার উন্মোচন করবো। একটি রাজনৈতিক উদ্যোগ অনেক কঠিন। তবু শক্ত মনোবলে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা ইতিবাচক রাজনীতি করবো।

এসময় অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন ‘জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’-এর কক্সবাজার সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর কাশেম, মাস্টার শফিকুল হকসহ আরো অনেকে।

কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল আলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী।

‘জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’ আয়োজিত কর্মশালা

গত বছরের ২৭ এপ্রিল রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে ‘জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’। এর আগে, জামায়াতে ইসলামীতে বিভক্তির অভিযোগ এনে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দল থেকে বহিষ্কার করা হয় মনজুকে। ওই দিনই লন্ডনে অবস্থানরত সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক স্বেচ্ছায় জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেন। ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মনজু জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর মজলিসে শুরার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দলের সাংগঠনিক নেতৃত্বে তার সক্রিয়তা না থাকলেও জামায়াতের তাত্ত্বিক পর্যায়ে মনজুর বেশ ভালো অবস্থান ছিল।