বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু, জুমায় অংশ নেবেন লাখো মানুষ

বিশ্ব ইজতেমা (ছবি: নাসিরুল ইসলাম)শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। দেশ-বিদেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উপস্থিতিতে চলেছে ঈমান ও আখলাকের ওপর বয়ান। শুক্রবার বাদ ফজর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা চেরাগ আলী। বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা আশরাফ আলী। আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে মুখর কহর দরিয়াখ্যাত টঙ্গীর তুরাগপাড়ের বিশ্ব ইজতেমা ময়দান। আশা করা হচ্ছে, ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় কয়েক লাখ মানুষ জুমার নামাজে সমবেত হবেন। অনুষ্ঠিত হবে দেশের বৃহত্তম জামাত।

১৯ জানুয়ারি (রবিবার) আখেরি মোনাজাতের মাধ্য দিয়ে শেষ হবে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমা।বিশ্ব ইজতেমা

ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আমির প্রকৌশলী ওয়াসেফুল ইসলাম জানান, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায় ভারতের নিজামুদ্দিন মারকাজের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সা’দ কান্ধলভি এ ইজতেমায় আসবেন না। তার পক্ষে তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বি ও আলেমসহ ৩২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে বিশ্ব ইজতেমায় এসে পৌঁছেছেন। তাদের তত্ত্বাবধানেই পরিচালিত হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। এ ছাড়া বাংলাদেশের ৬৪ জেলা থেকে মুসল্লিরা দ্বিতীয় পর্বের এ ইজতেমায় অংশগ্রহণ করতে আসছেন। তারা জেলা ভিত্তিক নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিচ্ছেন।’

তিনি আরও জানান, ‘দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় অংশ নিতে ইতোমধ্যে সৌদি আরব, পাকিস্তান, ভারত, ইরাক, তুরস্ক থেকে শুরু করে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে বিদেশি মেহমানসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ ইজতেমাস্থলে হাজির হয়েছেন। এ পর্বে ইজতেমায় আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল অব্যাহত থাকবে রবিবার আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত। এ পর্বেও মুসল্লিদের জন্য থাকছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া অসুস্থ মুসল্লিদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’বিশ্ব ইজতেমা (ছবি: ফোকাসবাংলা)

ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের সমন্বয়ক হাজী মুনির হোসেন জানান, ‘বৃহস্পতিবার বাদ জোহর বয়ান পেশ করেন ভূপালের মুরব্বি ইকবাল হাফিজ। বাংলায় এই বয়ানের তরজমা করেন কাকরাইলের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা মনির ইউছুফ। বাদ আসর বয়ান করেন বাংলাদেশের মাওলানা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, বাদ মাগরিব মূল আমবয়ান করেন ভারতের মাওলানা শামীম, তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা জিয়া বিন কাসেম।’

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশনসহ সরকারি সব দফতর সার্বক্ষণিকভাবে মুসল্লিদের সেবায় ব্যস্ত সময় পার করছে।