দুদকের আইনজীবী জানান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহকারী শামসুল ইসলাম প্রায় ৪শ’র বেশি ভুয়া লাইসেন্স তৈরি করে জনপ্রতি তিন-চার লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যক্তিদের কাছে সরবরাহ করে। এই লাইসেন্স নেওয়া ব্যক্তিদের বেশির ভাগই সাবেক সেনা সদস্য। বিষয়টি জানাজানি হলে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি দল অস্ত্রের লাইসেন্স শাখার অফিস সহকারী শামসুল ইসলামের কক্ষ তল্লাশি করে ৩৯১টি ভুয়া অস্ত্রের লাইসেন্সের কাগজ, নগদ ২০ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা অমূল্য চন্দ্র রায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে দুদক মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে। তদন্ত শেষে ৩শ’ ৯১ জনের নামে গত বছরের ২০ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। সোমবার ওই মামলার চার্জশিটভুক্ত ৪৫ জন আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করে।
তিনি আরও জানান, ৩শ’ ৯১ জন আসামির বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২০০৪ সালের ১৯(৩) ধারা দণ্ডবিধি আইনের ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৫৮ ধারা ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ধারায় চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক। এই মামলার প্রধান আসামি অফিস সহকারী শামসুল ইসলাম দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর হাইকোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে আছে।