সুন্দরবনে আড়াই দিন আমার অনন্য অভিজ্ঞতা: যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত

মোংলায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারবাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, ‘আমি জীবনে প্রথম সুন্দরবনে এসে আড়াই দিন থাকলাম। এটা আমার জীবনের এক অনন্য অভিজ্ঞতা। এই সফরে আমি দেখলাম, সুন্দরবন ও তার জীববৈচিত্র্য বিশেষ করে রয়েল বেঙ্গল টাইগার রক্ষায় সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ অন্যান্য অনেক সংস্থা কাজ করে চলেছে। সুন্দরবন শুধু বাংলাদেশের সম্পদ নয়, এটা বিশ্বের সম্পদ। বর্তমান সরকার বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবন ও পরিবেশ রক্ষায় খুব আন্তরিক।’মোংলায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে মোংলার জয়মনিরঘোল এলাকায় সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি জয়মনিরঘোলে টাইগার টিমের বাঘ তাড়ানো কার্যক্রম দেখেন। এছাড়া ওয়াইর্ল্ড টিম, টাইগার টিম, ইউএসআইডি ও সিএমসি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

আর্ল রবার্ট মিলার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার জলবায়ু পরিবর্তন ও সুন্দরবন রক্ষায় বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন প্রকল্পে ফান্ড দিচ্ছে। উপকূলীয় এলাকার মানুষও সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্য রক্ষার জন্যে কাজ করে যাচ্ছে। সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেটা আপনাদের শিশুসহ বিশ্বের সব শিশুদের জন্যে বিশেষ করে পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে আশাব্যাঞ্জক। সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, ডলফিন, চিত্রা হরিণসহ যে সমস্ত দুর্লভ প্রাণী রয়েছে তাদের রক্ষা করার জন্যে সবারই কাজ করা উচিত’।মোংলায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার

এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের পরিচালক ডার্ক ব্রাউন, ওয়াইর্ল্ড টিমের সিও প্রফেসর আসাবুল ইসলাম, মোংলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আসিফ ইকবাল, পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার রাজবংশী।

গত ২৬ জানুয়ারি (রবিবার) হেলিকপ্টারে মোংলায় আসেন আর্ল রবার্ট মিলার। আড়াইদিন ধরে বিলাসবহুল লঞ্চে সুন্দরবনের বিভিন্ন স্পট ঘুরে দেখেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে জয়মনিরঘোল থেকে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।