মেছোবাঘ আটক, বিপাকে কৃষক!

ছবিটি তুলেছেন স্থানীয় সাংবাদিক আজিজুর রহমান

যশোরের চৌগাছায় একটি মেছোবাঘ (বাঘডাসা) আটক করে বিপাকে পড়েছে স্থানীয়রা। গত তিনদিন ধরে সেটিকে সেটিকে রাখা হলেও বনবিভাগের কর্মকর্তারা এটি উদ্ধারে কোনও ব্যবস্থা নেননি।

জানা যায়, বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে চৌগাছা উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়নের তিলকপুর গ্রাম থেকে মেছোবাঘটিকে আটক করা হয়। এরপর একদিন বস্তায় ভরে রাখার পর শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সেটিকে মুরগির খাঁচায় বন্দি করা হয়। আটক মেছোবাঘটির উচ্চতা প্রায় এক ফুট এবং লম্বা আড়াই ফুটের মতো।

তিলকপুর গ্রামের কৃষক ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম লতামিয়া জানান, গত বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে বাড়ির প্রবেশমুখে তিনি বাঘটিকে দেখতে পান। ভয়ে চিৎকার করলে গ্রামের লোকজন জড়ো হয়। এরপর সবাই মিলে মেছোবাঘটিকে ধরে ফেলেন।

লতা মিয়া বলেন, ‘ধরার সময় মেছোবাঘটি আহমদ আলী নামে একজনকে কামড়ে দেয় এবং আমাকেও কয়েকদফা কামড়াতে আসে। পরে বাঁশ দিয়ে আঘাত করে ওটিকে কাবু করি। এরপর বস্তাবন্দি করা হয়। শুক্রবার দুপুরে একটি মুরগি খাঁচায় বাঘটিকে রাখা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাঘটি ছেড়ে দিলে মানুষ বা গৃহপালিত পশুকে কামড়াতে পারে অথবা কেউ যদি পিটিয়ে মেরে ফেলে, সেই ভয়ে বাঘটি আটকে রেখেছি।’

লতামিয়ার ধারণা, তাদের গ্রামটি ভারত সীমান্ত লাগোয়া। সীমান্তের ওপারের বনজঙ্গল থেকে হয়তো বাঘডাসাটি চলে এসেছে।

সংবাদ পেয়ে চৌগাছার স্থানীয় সাংবাদিক আজিজুর রহমান উপজেলা বন কর্মকর্তা ওমর আলী গাজী এবং বেনাপোল স্থলবন্দর বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের বন কর্মকর্তা মো. মামুন-অর-রশীদকে মোবাইলফোনে বিষয়টি অবহিত করেন। কিন্তু কেউই ঘটনাস্থলে যাননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চৌগাছা উপজেলা বন কর্মকর্তা ওমর আলী গাজী বলেন, ‘বিষয়টি বন্যপ্রাণী ইউনিটের। আমাদের আসলে করণীয় কিছুই নেই।’

বেনাপোল স্থলবন্দর বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের বন কর্মকর্তা মো. মামুন-অর-রশীদ বলেন, ‘ওই প্রাণীটি তেমন ক্ষতিকর নয়। ধরতে গেছে বলেই হয়তো কামড়ে দিয়েছে। রাতে সেটি ছেড়ে দিলে তার গন্তব্যে চলে যাবে। এরপরও যদি তারা না ছাড়ে, তবে সকালে আমরা যাবো।’