অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে বোদা উপজেলার কাটুনহাড়ি ও বন্দরমনি ঘাট থেকে বালু উত্তোলন করছে ইজারদাররা। নদীর তীরেই কয়েকজন অধিবাসী কয়েকশ একর জমি জুড়ে কয়েকটি আম বাগান করেছেন। বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলনের ফলে করোতোয়া নদীর পাড় ভেঙে পড়ছে। পাড়ের বালুর সঙ্গে আম গাছগুলোও নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
বাগান মালিক সারোয়ার হোসেন জানান, ‘নদীর ধারেই আমার ১৫ বিঘা জমিতে আম বাগান রয়েছে। বেপোরোয়াভাবে নদীতে বালু উত্তোলনের ফলে আমার বাগানের কিছু অংশ এবং আরও কয়েকজনের আমবাগান নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। নদীতে প্রায় ১৫ ফুট গভীর করে বালু উত্তোলনের ফলে পাড় ভেঙে পড়ছে। বাগানগুলোর পাশেই রয়েছে ফসলি জমি। এভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে অচিরেই বাগান এবং ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে আমরা বেশ কয়েকবার জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোনও প্রতিকার পাইনি।’
তিনি আরও জানান, করোতোয়া নদীর এই বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন করছেন আব্দুল মজিদ নামের একজন ইজারাদার।
এব্যাপারে আব্দুল মজিদ বলেন, ‘গত বছরের এপ্রিল মাসে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ৭২ লাখ টাকার বিনিময়ে বালুমহাল ইজারা নিয়েছি। আমবাগান তলিয়ে যাচ্ছে এটা আমি জানি না।’
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’