আক্কাস শেখ যদুবয়রা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বরইচারা গ্রামের বাসিন্দা।
নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে স্থানীয় যদুবয়রা হাই স্কুল মাঠে যাচাইয়ের মাধ্যমে ভাতাভোগী নির্বাচন চলছিল। সেখানে শারীরিক প্রতিবন্ধী আক্কাস কার্ডের আশায় খুব সকাল থেকেই অসুস্থতা নিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জানান, কুমারখালী উপজেলায় পর্যায়ক্রমে সব ইউনিয়নে উন্মুক্তভাবে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা, দুস্থ মহিলা ও অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী বাছাই কাজ শুরু হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার ছিল ৮নং যদুবয়রা ইউনিয়নের ভাতাভোগী বাছাইয়ের দিন। যদুবয়রা ইউনিয়নে প্রায় দুই হাজার জনের মধ্যে থেকে বয়স্ক ভাতার জন্য ৬৯, বিধবা ভাতার জন্য ৬৪ এবং প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য ২৩০ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে।আক্কাসের স্ত্রী যেহেতু বিধবা হয়েছেন তাই তাকেও কার্ড দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শরিফুল আলম বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে বাছাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে দুঃখজনকভাবে আক্কাস শেখ নামের একজন প্রতিবন্ধীর মৃত্যু হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাজীবুল ইসলাম খান বলেন, ‘সকাল ১০টায় বাছাই শুরুর কথা থাকলেও নদী পার হয়ে একটু ঘুরে যেতে আমি সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে পৌঁছে শুনি একজন মারা গেছেন। তিনি স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকে মারা যেতে পারেন বলে ধারণা হচ্ছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘অসুস্থদের আমরা আগে বাছাই করি এবং যেন তারা একটু ছাঁয়ায় দাঁড়াতে পারেন সেজন্য ভেন্যু হিসেবে আমরা স্কুলগুলো বেঁছে নিই।’