‘গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহে আঘাতের চিহ্ন’

গাজীপুর

গাজীপুরের টঙ্গীতে মাহমুদা আক্তার হীরা (২৭) নামে একজন গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে টঙ্গীর খৈরতৈল (পূর্বপাড়া) এলাকায় বাবার বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

টঙ্গী পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের ছোট বোন ফাতেমা আক্তার (২২) জানান, রবিবার রাতে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে হীরার সঙ্গে তার স্বামীর বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় তার স্বামী তাকে মারধর করে ঘর থেকে বের হয়ে যান। সকালে তার ঘরের দরজা বন্ধ এবং সাড়াশব্দ না পেয়ে সবার সন্দেহ হয়। পরে দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। স্বজনেরা উদ্ধার করে টঙ্গীর সাতাইশ এলাকার ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানা যায়, নিহতের স্বামী নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে কামরুল হাসান। তিনি গত তিন মাস আগে মালয়েশিয়া থেকে ফিরে স্ত্রী হীরাকে নিয়ে তার শ্বশুরবাড়িতে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। নিহত মাহমুদা আক্তার হীরা খৈরতৈল (পূর্বপাড়া) এলাকার মোহাম্মদ হানিফের মেয়ে।

ছয় বছর আগে রাসেলের সঙ্গে হীরার বিয়ে হয়। তাদের চার বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

এসআই আব্দুল মালেক জানান, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক জানান, গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাবে।