দুই দিন ধরে আমদানি-রফতানি বন্ধ বেনাপোলে

বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধবেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো ভারতের সঙ্গে সব ধরনের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) কোনও ট্রাক পণ্য নিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারেনি। ভারত থেকেও পণ্যবাহী কোনও ট্রাক আসেনি।

গত মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কাস্টমস পারমিট পাস নিয়ে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস কর্মচারীরা ব্যবসায়িক কাজে পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে গেলে বিএসএফ বাধা দেয়। এ কারণেই আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যায়।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামান তাজিম জানান, ‘বাণিজ্যিক সুবিধার্থে দুই দেশের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা কাগজপত্র প্রস্তুত করতে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু হঠাৎ বিএসএফ স্টাফদের বন্দরে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এতে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।’

বাংলাদেশি ট্রাকচালকরা জানান, ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় প্রায় পাঁচ শতাধিক পণ্যবোঝাই ট্রাক রাস্তায় আটকা পড়েছে। পেট্রাপোল বন্দরেও একই চিত্র।

বেনাপোল আমদানি, রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, ‘বাংলাদেশ অংশে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে কাস্টমস ও বন্দর। কিন্তু ভারত অংশে বাণিজ্যিক সবকিছু তদারকি করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। আলোচনা ছাড়াই বিএসএফের এমন সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।’

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ) আব্দুল জলিল জানান, কোনও আলোচনা ছাড়াই বিএসএফের এমন সিদ্ধান্ত বেআইনি। এ সিদ্ধান্তে ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বাণিজ্য সচলের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত ৩শ' থেকে ৪শ' ট্রাক বিভিন্ন পণ্য আমদানি এবং দেড়শ থেকে ২শ' ট্রাক পণ্য রফতানি হয়ে থাকে। আমদানি পণ্যের মধ্যে শিল্প-কারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক ও খাদ্যদ্রব্য রয়েছে। রফতানি পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত দ্রব্য উল্লেখযোগ্য। প্রতিবছর এ বন্দরে আমদানি করা পণ্য থেকে সরকার প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে। একদিন বাণিজ্য বন্ধ থাকলে কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় ব্যাহত হয়।

আরও পড়ুন- বিএসএফের বাধায় বেনাপোলে আমদানি-রফতানি বন্ধ