প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানসহ কুমিল্লার সব বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা




শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর (ফাইল ছবি)দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সংক্রমণ রোধে ও জনসমাগম এড়াতে কুমিল্লার নগরউদ্যান এবং শিশু পার্কসহ সরকারি-বেসরকারি সব বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান শালবন বিহার ও কোটবাড়ী যাদুঘরসহ জেলার সব দর্শনীয় স্থানগুলোতেও প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।



কুমিল্লার কোটবাড়ী ময়নামতি জাদুঘর ও শালবন বিহারের কাস্টোডিয়ান মো. হাফিজুর রহমান জানান, কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে জেলার সব প্রত্নতাত্ত্বিক দর্শনীয় স্থানগুলো মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কুমিল্লা কোটাবাড়ীর শালবন বিহার, কোটবাড়ী যাদুঘর, রূপবান মূড়া, ইটাখোলা মূড়া।

এদিকে নগরউদ্যান ও শিশু পার্কসহ বেশ কয়েকটি বিনোদনকেন্দ্রও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জনসমাগম এড়াতে কুমিল্লা নগরীর ঈদগাহ মাঠের ফটকেও তালা দিয়ে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস যাতে না ছড়ায় সেজন্য জনসমাগম হয়, এমন জায়গাগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রকোপ কমলে এসব স্থান পুনরায় খুলে দেওয়া হবে।

এছাড়াও কুমিল্লার আউটার স্টেডিয়ামে চলমান বাণিজ্য মেলাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খেলার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় ঈদগাহে তরুণদের সমাগমের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব স্থান বন্ধ থাকবে বলে জানান কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসমাগম হয় কুমিল্লার এমন দর্শনীয় স্থান, নগর উদ্যান, শিশু পার্কসহ সব সরকারি-বেসরকারি বিনোদনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও কুমিল্লা আউটার স্টেডিয়ামে চলমান বাণিজ্য মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ঈদগাহে তরুণদের খেলার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসমাগম কমানোর জন্য স্থানগুলো সাময়িক বন্ধ রাখার নিদের্শ দেওয়া হলেও, ভাইরাসের প্রকোপ কমলে আবারও খুলে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।