অধিকাংশ ক্লিনিকের বহির্বিভাগে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ

যশোর

চিকিৎসকদের রোগী দেখার অনীহার কারণে যশোরের অধিকাংশ ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের বহির্বিভাগে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে গেছে। নার্স এবং ওয়ার্ড-বয়রা কাজে আসতে রাজি না হওয়ায় বন্ধের উপক্রম হয়েছে ভর্তি থাকা রোগীদের সেবা কার্যক্রমও।

জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ইতোমধ্যে জেলায় বিভিন্ন সর্তকতামূলক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের হাসপাতালে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের পারসোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) নিশ্চিত না হওয়ায় যশোরের অধিকাংশ ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে বহির্বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু বড় ক্লিনিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলেও কমে গেছে রোগীর সংখ্যা।

যশোর কুইন্স হসপিটালের ম্যানেজার মিঠু সাহা জানান, তারা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তায় নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তবে বহির্বিভাগে চিকিৎসকদের উপস্থিতি কম। জীবানুনাশক দিয়ে রোগীকে পরিচ্ছন্ন করার পর চিকিৎসকের কাছে পাঠানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, 'শহরের অধিকাংশ ক্লিনিকে ২৩ মার্চ থেকেই চিকিৎসকরা বহির্বিভাগে রোগী দেখছেন না। পরিস্থিতি খারাপ হলে সেই পথে যেতে হতে পারে।'

সপ্তাহে দুইদিন রোগী দেখেন ফরিদপুর ডায়াবেটিস সোসাইটি মেডিক্যাল কলেজের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. ইসহাক আলী খান। তিনি বলেন, 'গত সপ্তাহেও রোগী দেখেছি। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে চলতি সপ্তাহ থেকে আর যশোরের ক্লিনিকে রোগী দেখবো না।'

মডার্ন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, '২২ মার্চ থেকেই আমাদের হসপিটালে রোগী দেখা বন্ধ হয়ে গেছে।'

যশোর বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি ডা. আতিকুর রহমান জানান, যশোরের ৪০-৪২টি ক্লিনিকে অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিভাগে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়। তবে এখন থেকে বহির্বিভাগে কোনও চিকিৎসক রোগী দেখবেন না বলে জানিয়েছেন। চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিক কেউ ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। এছাড়া নার্স এবং ওয়ার্ড-বয়রাও কাজ করতে আসতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে অচিরেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে সব ধরনের সেবা।