স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতি থেকে বহিষ্কার করা হয় ভূষণ চাকমা দুদোরবুকে। সংগঠনটির বাঘাইছড়ি উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক যোশি চাকমা এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, বহিষ্কার করা হলেও তিনি সংগঠনের সমর্থক ছিলেন।
যোশি চাকমা জানিয়েছেন, ‘ভূষণ চাকমা বুধবার রাতে স্ত্রীসহ এক প্রতিবেশীর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে রূপকারি বিজয়ঘাট এলাকায় নদী পার হয়ে এসে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। এসময় তার স্ত্রীর শরীরেও গুলি লেগেছে বলে জেনেছি।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) অন্যতম শীর্ষ নেতা ও বাঘাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা জানিয়েছেন, ‘নিহত ভূষণ আমাদের সমর্থক। তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করছি।’
এবিষয়ে জানার জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাদের কারও মোবাইল খোলা পাওয়া যায়নি।
বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এ মনজুর হক জানিয়েছেন, ‘ফোনে বিষয়টি জেনেছি। নির্মল চাকমা ছেলে ভূষণ চাকমা দুদোরবু (৪৫) নামের এক জেএসএস (এমএনলারমা) সমর্থককে গুলি করে হত্যা করেছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। তার মূল বাড়ি বঙ্গলতলী হলেও তিনি পরিবার নিয়ে রূপকারিতে থাকতেন। তার স্ত্রীও গুলিতে আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’