করোনা রোগীর আতঙ্কে হাসপাতাল রোগীশূন্য!

আতঙ্কে হাসপাতালের বেড এখন রোগীশূন্য।

আতঙ্কে হাসপাতালের বেড এখন রোগীশূন্য। করোনা আতঙ্কের পর থেকেই বদলে গেছে পঞ্চগড়ের হাসপাতালগুলোর চালচিত্র। একসময় বহির্বিভাগ থেকে শুরু করে হাসপাতালগুলোর প্রতিটি বেডে রোগীতে ঠাসা থাকতো। কিন্তু পরিস্থিতি এখন ঠিক উল্টো। পঞ্চগড়ে করোনা সংক্রমণে এক রোগীকে আইসোলেশনে রাখার খবরে হাসপাতালগুলো এখন প্রায় রোগীশূন্য।

করোনা মহামারির খবরে ভয় ও আতঙ্কে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন না সাধারণ রোগীরা। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সিরাজউদ্দৌলা পলিন জানান, ‘পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনা সন্দেহে একজন রোগী ভর্তি করার পর থেকেই রোগীর সংখ্যা কমে গেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসছেন না। সর্দি, জ্বর ও কাঁশিতে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালের বাইরে বসেই চিকিৎসকরা সেবা দিচ্ছেন। অনেকে আবার বাড়িতে বসে মোবাইল ফোনে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিচ্ছেন।

অবশ্য করোনা সন্দেহে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া ওই যুবকের করোনার ফলাফল নেগেটিভ পাওয়া গেছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাত্র ৮ জন রোগী পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। প্রায় রোগীশূন্য হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সরা অলস সময় কাটাচ্ছেন।

জরুরি বিভাগে কর্মরতরাই কেবল পিপিই পরেছেন। বাকিরা রয়েছেন সাধারণ পোশাকে। অথচ অন্য সময়ে ১০০ শয্যার হাসপাতালটি প্রতিদিন দুই থেকে আড়াইশ রোগীতে ঠাসা থাকতো। বহির্বিভাগে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াইশ রোগী দেখতে হতো।

উল্লেখ্য, পঞ্চগড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে আরও ১৮ জনকে। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩১৯ জন।