ভুয়া নারী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আটক ৪




প্রতারকচক্রের আটক সদস্যকুমিল্লার চান্দিনায় করোনা পরিস্থিতিতে দোকান খোলার অভিযোগ তুলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে জরিমানা করে প্রতারণায় সময় এক ভুয়া নারী ম্যাজিস্ট্রেটসহ চার জনকে আটক করে গ্রামবাসী। চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাসী ইউনিয়নের তীরচর গ্রাম থেকে ওই চার প্রতারককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। ভুয়া নারী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গীরা নিজেদের ডিবি পুলিশের সদস্য দাবি করেন।  

আটকরা হলেন কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার চুলাশ গ্রামের মো. ফারুকের স্ত্রী মনি (২৯)। তিনি নিজেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলে পরিচয় দেন। তার সঙ্গে ছিলেন মো. আয়েত আলীর ছেলে ফারুক (৩৬), একই গ্রামের জাফর আলীর ছেলে লিটন (৪২) এবং অপরজন মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে রহমান আলী (৩৫)। তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদ জানান, তীরচর গ্রামের মাদ্রাসার পাশের এলাকায় বাবুল মিয়ার মুদি দোকানের সামনে একটি মাইক্রোবাস এসে থামে। গাড়ি থেকে কয়েকজন নেমে দোকানদার বাবুলকে আটক করে। চলমান করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দোকান বন্ধের সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা অভিযোগ তুলে তারা দোকানদারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। তবে দোকানদার বাবুল মিয়া টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যেতে চায় প্রতারকচক্রের সদস্যরা। পরে আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে প্রতারকচক্রের সদস্যরা উল্টাপাল্টা কথা বলা শুরু করে। এ অবস্থায় উপস্থিত জনতা তাদের গণপিটুনি দেয়।

চান্দিনা থানার ওসি মো. আবুল ফয়সল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ইউপি সদস্য (ওয়ার্ড মেম্বার) মামুন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।