বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটের কার্যক্রম শুরু

বগুড়াবগুড়া ২৫০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিট স্বল্প পরিসরে চালু করা হয়েছে। প্রথমদিন রবিবার (২৯) বিকালে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় দুই রোগী ভর্তি হয়েছেন। সোমবার তাদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানো হবে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আইসোলেশন ইউনিটের সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য গত ২৪ মার্চ এই হাসপাতালকে আইসোলেশন ইউনিট ঘোষণা করা হয়। এজন্য এখানকার রোগীদের বিদায় দিয়ে ৫ ফুট পরপর ১২০টি বেড দেওয়া হয়। ১০ দিন সেবা দিতে ৩০ সদস্যের চিকিৎসক প্যানেল করা হয়েছে। প্রতি ২৪ ঘন্টায় তিনজন করে চিকিৎসক দায়িত্ব পালন শেষে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে যাবেন। তবে ইউনিটটি স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে ১০ বেডের আইসিইউ, পিপিই ৫ হাজার, অক্সিজেন সিলিন্ডার ৫০টি, নেবুলাইজার ১০০ সেট, এক সেড ডিজিটাল এক্সরে মেশিন, বায়ো কেমিক্যাল অ্যানালাইজার, কিট, প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জাম, ওষুধ ও লোকবল চাওয়া হয়। ইতোমধ্যে ৪০০ পিপিই এসেছে। আপাতত বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল থেকে দুই বেড আইসিইউ ও কিছু সরঞ্জাম আনা হয়েছে।

আরএমও জানান,  বর্তমানে গুরুতর ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগী ভর্তি করা হবে। জরুরি বিভাগে সর্দি, জ্বর ও কাশির চিকিৎসা চলবে।