করোনা সতর্কীকরণ প্রচার নেই গ্রামে



সিলেট

করোনাভাইরাস নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে জনসচেতনা সৃষ্টির জন্য প্রচারপত্র বিতরণ ও মাইকিং করা হচ্ছে। তবে এই প্রচারণা শুধু প্রধান সড়ক কিংবা সড়ক লাগোয়া আশপাশের গ্রামেই করা হয়। যারা এসব কার্যক্রম পরিচালনা করছেন, তারা গ্রামের ভেতরে যাচ্ছেন না। ফলে গ্রামের দিনমজুরসহ সাধারণ মানুষ করোনাভাইরাস সম্পর্কে খুব বেশি সচেতন হতে পারছেন না। এছাড়া নগরে প্রতিদিনই ব্যাকটেরিয়ানাশক ওষুধ ছিটানো হলেও গ্রামে এসব কার্যক্রম নেই। সম্প্রতি সিলেট সদর উপজেলার ৩নং খাদিমনগর ইউনিয়ননে গিয়ে এসব তথ্য জানা যায়।

ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মাখড় খলা গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর বাহার উদ্দিন জানান, করোনাভাইরাস নামের একটি রোগ এসেছে তা লোকমুখে শুনেছি। আর বাজারে গিয়ে এর প্রমাণও পেয়েছি। মাইকিং করা হলে তা প্রধান সড়কে (সাহেব বাজার) হয়। আমাদের গ্রামের ভেতরে কোনও মাইকিং কিংবা কাগজ বিতরণ করা হয়নি।

তিনি বলেন, 'গ্রামের মানুষের কোনও মূল্য নেই। যাদের মূল্য আছে, তাদের বাসাবাড়ির সামনে দিয়া মাইকিং ও গাড়ি থেকে ওষুধ ছিটানো হয়। গ্রামে এসব কিছু নেই। সিলেট শহর কিংবা শহরতলির কাছাকাছি যারা বসবাস করেন, শুধু তারাই করোনাভাইরাস সম্পর্কে অবগত আছেন। আমরা দিনমজুর হওয়ায় আমাদের কোনও মূল্য নেই।

এমন অভিযোগ করেছেন কুসাল, দা ধারানীসহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা। তারাও করোনাভাইরাস সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন নন। জনসচেতনতা না থাকার কারণেই তারা অবাধে গ্রামে ঘুরছেন, সবাই একসঙ্গে বসে কথা বলছেন।

রাবার শ্রমিকদের নেতা মাখড় খলা এলাকার সুজন মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'সচেতনতা দিয়ে কী হবে, পেটে যদি খাবার না থাকে। গ্রামের ভেতরে কেউ আসেনি করোনাভাইরাস সম্পর্কে আমাদের বোঝানোর জন্য। যা হয় তা বাজারে কিংবা সড়কেই হয়ে তাকে। সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শহর থেকে অনেকেই গ্রামে চলে এসেছে, ফলে আমাদের গ্রামের পরিবশে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।'

কুসাল গ্রামের ছাদির মিয়া জানান, কয়েকদিন আগে সাহেব বাজারের গিয়ে সবার হাতে দেখেছেন করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতার কাগজ। কিন্তু গ্রামের ভেতরে এসব নেই।

সিলেট সদর উপজেলার ৩নং খাদিম নগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, 'গ্রামের মানুষের জনসচেতনতা নিয়ে আমি ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দুদিন মাইকিং করিয়েছি। মাইক গ্রামের ভেতরেও গিয়েছে। হয়তো অনেকেই শুনেননি।'