এ নিয়ে পুলিশ সদস্যরাও হাতশা প্রকাশ করেছেন। খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোস্তাক আহমেদ তার ফেসবুক পেজে এ নিয়ে হতাশা নিয়ে লিখেছেন, ‘পুলিশ দেখলেই পালিয়ে যায়, আবার পুলিশ চলে গেলে ২০/৩০ জনের আড্ডা হয় প্রকাশ্যে। কীভাবে সম্ভব? আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছি। সেদিকে কারও মাথাব্যথা নাই। অথচ আইন অমান্য করে রাস্তায় ঘোরাফেরাকরাদের পক্ষে ফেসবুকে সমর্থন চলছে।’
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বুলবুল বলেন, পুলিশ সব এলাকার দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলেছে। তবুও চায়ের দোকানদাররা চোখ এড়িয়ে দোকান খোলা রাখছেন। যা নিয়ে আমরা হতাশ।
মিস্ত্রিপাড়া বাজারে আসা ইব্রাহিম মোড়ল বলেন, ‘তিন ফুট দূরত্বে থাকার বিষয় জানি। তবে, দাঁড়ানোর পর পাশে আরও একজন দাঁড়ালে তাকে তো দূরে সরে যেতে বলতে পারি না।’
আনছার উদ্দিন নামে অপর এক ক্রেতা বলেন, ‘ঘুরে ঘুরে বাজার করতে হচ্ছে। যে পরিমাণ মানুষ, তাতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা আসলেই কঠিন।’
এ অবস্থায় বাজারগুলোতে সতর্কতা মেনেই বেচা-কেনা চলছে বলে দাবি করেন রূপসা পাইকারি মৎস্য বাজার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রমজান আলী হাওলাদার। তিনি বলেন, মাছ বাজার পুরোপুরি বন্ধ হলে মানুষ খাবে কী? বাজারে সাবান-পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা মাস্ক ব্যবহার করছেন।
এমন অবস্থা চলতে থাকলে ও নাগরিকরা সচেতন না হলে ভয়াবহ অবস্থার মুখোমুখি হতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমদ। তিনি বলেন, এমন দশা চলতে থাকলে আগামী সপ্তাহেই করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ অবস্থায় মোড় নিতে পারে। এখনই হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তা না হলে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। সবাইকে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহবান জানান তিনি।