নকলা ও মনোহরগঞ্জে দুই বাড়ি লকডাউন




শেরপুরের নকলার একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত সন্দেহে শেরপুরের নকলা এবং কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে দুটি বাড়ি লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) বাড়ি দুটি লকডাউন করা হয় বলে জানিয়েছেন শেরপুর ও কুমিল্লা প্রতিনিধি।

নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমানের বরাত দিয়ে শেরপুর প্রতিনিধি জানান, ধনাকুশা গ্রামের একটি বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে বাড়িটি লকডাউন করা হয়। ওই বাড়ির এক সদস্য ঢাকায় রিকশা চালাতেন। কদিন আগে তিনি বাড়িতে আসেন। গত তিন-চার দিন ধরে ছেলেটি হাঁচি-কাশি-জ্বর ও পাতলা পায়খানায় ভুগছে। এদিকে বুধবার (১ এপ্রিল) থেকে ওই ছেলের মায়েরও জ্বর, পাতলা পায়খানা, হাঁচি ও কাশি শুরু হয়। ওই পরিবারের ৮ জন সদস্য। এ অবস্থায় পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত পরিবারের কেউ বাসা থেকে রেব হতে পারবেন না। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে মা ও ছেলের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই পরিবারের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শেরপুরের নকলার একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, মনোহরগঞ্জ উপজেলার খরখরিয়া গ্রামের একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। ঢাকায় ব্যবসা করতেন বাড়ির এমন এক সদস্যের করোনা সন্দেহে বাড়িটি লকডাউন করা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই গ্রামের মানুষের চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মনোহরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী জানান, করোনা আক্রান্ত সন্দেহ ব্যক্তি ঢাকায় ব্যবসা করতেন। জ্বর-সর্দি ও কাশি নিয়ে বাড়িতে আসেন। উপজেলা থেকে চিকিৎসকরা গিয়ে ওই ব্যক্তিকে দেখে করোনার লক্ষণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন। তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আইইডিসিআরের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ওই বাড়িটি লকডাউন থাকবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা।