বগুড়ায় আইসোলেশনে মৃত শিশুর লাশ বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন




বগুড়াবগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে মৃত শিশু সিয়ামের (১৩) লাশ বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হয়েছে। বুধবার (১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে গাবতলী উপজেলার দড়ি সোনাকানিয়া গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। শ্বাসকষ্ট ও পা ব্যথা নিয়ে ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শিশুটি মারা যায়। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন তিনটি বাড়ি লকডাউন করেছে।

জানা গেছে, গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের আবদুল গফুরের ছেলে সিয়াম গত ৬-৭ দিন ধরে পা ব্যথায় ভুগছিল। তার দুই পা ফুলে গিয়েছিল ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। বুধবার দুপুরের আগে তাকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে আনা হয়। সেখান থেকে দুপুরে আইসোলেশন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।

আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, ভর্তির সময় অচেতন শিশুটির রক্তে অক্সিজেন ৪০-৪২ শতাংশ ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সে মারা যায়। তিনি আরও জানান, বর্তমানে আইসোলেশন ইউনিটে এক নারীসহ চার রোগীর চিকিৎসা চলছে। বুধবার তাদের শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনা রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মৃত সিয়ামের নমুনা বৃহস্পতিবার পাঠানো হয়। তিনি আশা করেন, শুক্রবার আইইডিসিআর থেকে জীবিত চার জনের ও শনিবার মৃত শিশুর রিপোর্ট আসবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিশু সিয়ামের লাশের জানাজা শেষে দড়ি সোনাকানিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, ২-৩ জন পুলিশ ও কয়েকজন নিকটজন এসব কাজে অংশ নেন। তারা সকলে পিপিই পরিহিত ছিলেন। বাহিরের কাউকে দাফনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।

গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওনক জাহান জানান, রীতি অনুযায়ী শিশুটির লাশের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মৃতের বাড়িসহ আশপাশের তিনটি বাড়ি লকডাউন করা হয়।